দীর্ঘ বিরতির পর আজ শনিবার (১৯ জুন) থেকে বাংলাদেশে চীন সরকারের উপহার দেওয়া ১১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। শুক্রবার (১৮ জুন) অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সিনোফার্মের টিকা পাবেন যারা
১০ ক্যাটাগরির ব্যক্তিদের এ টিকা দেওয়ার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তারা হলেন-
# টিকার জন্য নির্ধারিত কেন্দ্রে ইতোমধ্যে যারা ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো টিকা পাননি, তাদের এ টিকা দেওয়া হবে।
# অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী।
# পুলিশ সদস্যরা যারা আগে টিকা নেননি।
# অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিদেশগামী বাংলাদেশি কর্মী, যাদের বিএমইটি নিবন্ধন কিংবা কার্ড আছে।
# সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীরা, সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি, সরকারি ম্যাটস ও সরকারি আইএইচটি’র শিক্ষার্থীরা।
# সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা।
# বিডার আওতাধীন ও অন্যান্য জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক সরকারি প্রকল্পে (পদ্মা সেতু প্রকল্প, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্প, এক্সপ্রেস হাইওয়ে প্রকল্প, রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র) সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
# ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
# সারাদেশে কোভিড-১৯ মৃতদেহ সৎকারে নিয়োজিত ওয়ার্ড/পৌরসভার কর্মীরা।
# বাংলাদেশে বসবাসরত চীনা নাগরিকরা পাবেন সিনোফার্মের এ টিকা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, আগে অন্য কোনো করোনা টিকা নেওয়া থাকলে এ টিকা দেওয়া যাবে না। নিবন্ধন ছাড়া কেউ টিকা গ্রহণ করতে পারবেন না। এছাড়া অন্য কোনো দেশ থেকে প্রথম ডোজ গ্রহণ করে বাংলাদেশে এলে দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে এ টিকা দেওয়া যাবে না।
সরকারি, বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি, সরকারি ম্যাটস এবং সরকারি আইএইচটি শিক্ষার্থীরা জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে স্টুডেন্ট আইডি’র তথ্য লিপিবদ্ধ করে টিকা নিতে পারবেন। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণের আগে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সুরক্ষা ওয়েব পোর্টাল/অ্যাপে নিবন্ধন করে নিতে হবে।