সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় ‘মব’ সৃষ্টি করে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। আহত অবস্থায় ওই সাংবাদিককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিকের নাম লিটন কুমার চৌধুরী। তিনি দৈনিক জনকণ্ঠের সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি এবং সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার বাড়ি সীতাকুণ্ড পৌর সদরের রেলগেট এলাকাতেই।
লিটন কুমার চৌধুরীর ওপর হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ‘সীতাকুণ্ড সম্মিলিত নাগরিক কমিটি’ নামের একটি ফেসবুক পেজে দেওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক লিটনকে ঘিরে রেখেছেন। তাদের মধ্যে দুইজন লিটনকে মারধর করছেন। লিটনকে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’, ‘মিথ্যা নিউজ ছড়ানোর হোতা’ ইত্যাদি সম্বোধন করা হচ্ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মারধরের পর রক্তাক্ত অবস্থায় লিটন চৌধুরীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ লিটন চৌধুরীকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত লিটন চৌধুরীর ছেলে রাকেশ চৌধুরী বলেন, ‘আমার পড়াশোনার জন্য বাবা শহরে বাসা ভাড়া নিয়েছে। সেখানে আমরা পুরো পরিবার থাকি। কালী পূজা উপলক্ষে আমরা সবাই বাড়িতে গিয়েছিলেন।’
হামলার ঘটনা বর্ণনা দিয়ে রাকেশ বলেন, ‘রাতে বাবা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে মোবাইল দেখছিলেন। এ সময় এক যুবক এসে অন্যদের ডেকে আনে এবং মারধর শুরু করে। এ সময় তারা বাবাকে মারতে মারতে একদিকে নিয়ে যায়। আমি ও আমার জ্যাঠাত ভাই বাবাকে রক্ষা করতে গেলে তারা আমাদেরও মারধর করে।’
অভিযুক্তদের বিচার দাবি করে সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবে সভাপতি এসএফ ফোরকান আবু বলেন, ‘যারা লিটন চৌধুরীর ওপর হামলা করেছে, তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। ভিডিওতে সবার ছবি পরিষ্কারভাবে দেখা গেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার চাই।’
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ‘কয়েকজন যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় লিটন চৌধুরীকে থানায় নিয়ে আসেন। তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’