নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণপরিবহনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। সিএমপির উদ্যোগে শহরে চলাচল করা অটোরিকশার নিবন্ধন করে একটি ওয়েবসাইট সংরক্ষণ করা হচ্ছে। যেখানে রয়েছে অটোরিকশার মালিক ও চালকদের তথ্য।
এরপর মালিক ও চালকদের সরবরাহ করা হচ্ছে কুইক রেসপন্স (কিউআর) কোড সম্বলিত একটি কার্ড। যেটি ঝুলিয়ে রাখা হবে গাড়িতে। যাত্রীরা ওঠার আগে কার্ডটি স্ক্যান করলে জানতে পারবেন মালিক ও চালকের তথ্য। আর এর মাধ্যমে একদিকে যেমন অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে, অন্যদিকে যাত্রীরা গাড়িতে হারানো জিনিসপত্র পুনরায় ফেরত পাবেন বলে আশাবাদী পুলিশ।
নগর পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রীদের জন্য, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য দিন-রাত একটি নিরাপদ বাহন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে তাদের এ উদ্যোগ। যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’।
এর আওতায় নগরে চলাচল করা বৈধ কাগজ সম্বলিত সব সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক এবং চালকদের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করার মাধ্যমে ভেরিফাইড করা হবে। তাদের সব তথ্য পুলিশ সার্ভারে জমা রেখে প্রত্যেককে একটি আলাদা কিউআর কোড এবং নিউম্যারিক আইডি কার্ড দেওয়া হবে।
পরবর্তী সময়ে যাত্রীরা এ আইডি অথবা কিউআর কোডটি স্ক্যান করে চালক-মালিক সম্পর্কিত সব তথ্য জানতে পারবেন। কোনো যাত্রী গাড়িতে ওঠার আগে যদি গাড়িতে প্রিন্টেড কপিটি ঝুলানো দেখে, তাহলে বুঝতে পারবে গাড়িটি পুলিশ কর্তৃক ভেরিফাইড। আরও ভালোভাবে জানতে ডাউন-লোড করতে হবে ‘হ্যালো সিএমপি’ অ্যাপস।
তবে যাদের হাতে স্মার্টফোন নেই, তারাও ভিন্নভাবে ভেরিফাই করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে যেকোনো মোবাইল থেকে কার্ডে থাকা নিউম্যারিক কোডটি সিএমপি নির্ধারিত নম্বরে পাঠাতে হবে। এরপর ফিরতি বার্তায় পুলিশ গাড়িটির চালক-মালিক ভেরিফাইড কি-না জানাবে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে নগরের নির্ধারিত আটটি ট্রাফিক বুথে চালক-মালিকদের নিবন্ধন হবে।
এগুলো হলো- টাইগারপাস, নিউমার্কেট, বহদ্দারহাট, জিইসি মোড়, বাদামতলী, অলংকার, মইজ্জারটেক ও সিমেন্ট ক্রসিং ট্রাফিক পুলিশবক্স।
নিবন্ধন করতে গাড়ির মালিকের ক্ষেত্রে লাগবে- জাতীয় পরিচয়পত্র, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সনদ, ট্যাক্স টোকেন ও রুট পারমিট। এছাড়া চালকের ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘অটোরিকশা নিবন্ধন কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নিরাপত্তা অনুভূতি ছড়িয়ে দেওয়া। এছাড়া বিভিন্ন সময় যাত্রীরা তাদের অনেক মূল্যবান সামগ্রী গাড়িতে ফেলে যান। তারা যদি কিউআর কোড স্ক্যান করে রাখেন, তবে পরবর্তী সময়ে সহজেই গাড়িটি খোঁজা পাওয়া সম্ভব হবে। আবার অটোরিকশার মাধ্যমে হওয়া বিভিন্ন অপরাধ সহজেই উদঘাটন এবং নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
















