বাজারে আচানক লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের মূল্য। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৩০-৪০ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। অন্য দিকে বেড়েছে কয়েকটি সবজির মূল্য।
আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ আশপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীতে আচমকা লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের বাজার। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে অন্তত ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত।
বিক্রেতারা বলছেন, ‘খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়।’
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ায় এর প্রভাব খুচরা পর্যায়েও পড়েছে। সরবরাহ না বাড়লে সামনে বাজার আরও অস্থির হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
আর আড়তদারা শোনাচ্ছেন মজুত শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। পেঁয়াজের আড়তদার আতিকুর রহমান বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজের মজুত শেষের দিকে, ভারত থেকেও আমদানি হচ্ছে না; এর ওপর বৃষ্টিতে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাজারে কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। যার প্রভাবে দাম বাড়ছে।’
তবে, এসব অভিযোগ মানতে নারাজ ক্রেতারা। গৃহিণী সালমা বেগম বলেন, ‘রান্নায় পেঁয়াজ প্রতিদিনই প্রয়োজন হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ পণ্যটির মূল্য নিয়ে প্রায়ই বাজারে অস্থিরতা তৈরি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এবারও তাই হচ্ছে বাজারে। হঠাৎ মূল্য এতো বেড়ে গেছে যে, এক কেজির জায়গায় দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হচ্ছে।’
এদিকে বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করলেও ওঠানামা করছে দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কয়েকটি শাক-সবজির দাম বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, ‘সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে শিম, বেগুন, টমেটো, শসা, করোলাসহ কয়েকটি সবজির দাম।’
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শিমুল বলেন, ‘কয়েক সবজির দাম বেড়েছে। মূলত এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ বাড়েনি। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ১২০-১৫০ টাকা, শিম ৮০-৯০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা ও মুলা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি বেগুন ৮০-১২০ টাকা, ধুন্দল ৭০ টাকা, কহি ৫০ টাকা, বরবটি ৬০-৮০ টাকা, আলু ২৫ টাকা ও শসা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
এছাড়া প্রতি পিস ছোট সাইজের ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। আর প্রতি আঁটি লাল শাক ২০ টাকা, পালং শাক ২৫ টাকা, ডাটা শাক ২০ টাকা ও মুলা শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
সরবরাহ বাড়ানো ও বাজারে কার্যকর তদারকি নিশ্চিত না হলে পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের বাজার আরও অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভোক্তাদের অভিযোগ, নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি ফেরাতে এখনই কঠোর নজরদারি জরুরি।
















