বান্দরবানের থানচি উপজেলায় পার্বত্য মন্ত্রীর প্রচেষ্টায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ উপজেলা সদর ও বলিপাড়া ইউনিয়নে দিন দিন উন্নয়ন ছোঁয়ায় বদলে গেলেও বদলে যায়নি পর্যটন অঞ্চল খ্যাত রেমাক্রী ও তিন্দু। এখনো এই দুইটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা নেটওর্য়াকসহ ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় ডিজিটাল অনলাইনে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রমগুলো থেকে বঞ্চিত।বর্তমান সরকার গ্রামকে শহরে পরিনত করতে বান্দরবানে থানচি উপজেলা অভ্যন্তরীণ ও জেলা সদর হতে যোগাযোগ উন্নয়ন ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে থানচি, যার এক সময়ে দুর্গম জনপদ নামে পরিচিত। উপজেলা দুর্গম দুই ইউনিয়নের ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় সেখানকার স্থানীয়রা জন্মনিবন্ধন, ভিজিডি, বয়স্ক ভাতাসহ বিকাশ কিংবা নগদ সেবা ও স্কুল শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস করার সুবিধাগুলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাছাড়া ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় পর্যটক ভ্রমনকারীরাও এই সেবায় চরম ভোগান্তি পড়তে হচ্ছে।রেমাক্রী ইউপি মেম্বার হ্লাথোয়াইপ্রু মারমা বলেন, দুর্যোগ মুর্হুতে উপজেলা সদরে সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে ইঞ্চিন চালিত নৌকা মাধ্যমে আসতে একদিন লেগে যায়। যে কোন দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় হলে সাথে সাথে যোগাযোগ করার সম্ভব হচ্ছে না।
মহিলা মেম্বার মেপ্রু মারমা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি কারো কারো ৯শত টাকা, ৪শত টাকা ও বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা টাকার বিকাশ বা নগদ মাধ্যমে উত্তোলন করতে আসা-যাওয়ার ভাড়া দিতে প্রায় ১হাজার বেশী টাকা খরচ হয়।এদিকে উপজেলা সদর ও বলিপাড়া ইউনিয়নে রবি নেটওর্য়াক, টেলিটক নেটওর্য়াকসহ ইন্টারনেট থাকলেও ১নং রেমাক্রী এবং ২নং তিন্দু ইউনিয়নে নেই কোন মোবাইল নেটওর্য়াক। দু, ইউনিয়নে স্থানীয় জন-সাধারণ বিশেষ করে জন্মনিবন্ধন, ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা, ট্রেড লাইসেন্স, স্কুল শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস, উপবৃত্তি, বিকাশ কিংবা নগদ খোলা ইত্যাদি সেবা পাচ্ছে না। যে কোন দুর্ঘটনায় বা দুর্যোগ মুহুর্তে উপজেলা সদর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পায়ে হেটে বা ইঞ্চিন চালিত নৌকা করে আসতে একদিন লেগে যায়। থানচির দুর্গম দু, ইউনিয়নের নেটওর্য়াকসহ ইন্টারনেট সংযোগ সেবা প্রদানে পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সু-দৃষ্টির কামনা করছেন ইউনিয়নবাসী।সম্প্রতিক উপজেলা সদরে এ বিষয়ে তিন্দু ইউপি চেয়ারম্যান মংপ্রু অং মারমা সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দুর্গম তিন্দু ইউনিয়নবাসীদের ডিজিটালের সকল ধরনে সেবামূলক কার্যক্রম চাহিদায় সহযোগীতার জন্য আমি বেশি ভাগই সময় থানচি সদরে অবস্থান করি। থানচি আলীকদম সড়ক হয়ে যে বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন দেওয়ার কাজ চলছে তা বাস্তবায়ন হলে আশা করি নেটওয়ার্ক সংযোগ পাওয়া যেতে পারে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টির কামনা করছি।এই বিষয়ে ১নং রেমাক্রী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা (রনি) বলেন, দুর্গম তিন্দু ও রেমাক্রী দুই ইউনিয়নে নেটওর্য়াকসহ ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন সেবা কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নে কষ্টকর হয়ে পড়ছে। যদি দুইটি ইউনিয়নে নেটওর্য়াকে আওতায় আনা যায়, তবে সরকারের ডিজিটাল ছোঁয়া পাবে এলাকার জনগণ।