আজ সোমবার (১৬ই আগষ্ট) সকাল ১১ টাই হাসপাতালে অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুরোধ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে ১০ টি অক্সিজেন সেবা প্রদানের কাজে ব্যবহৃত বাইপ্যাপ মেশিন এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে রোগীদের ৪০টি মেডিক্যাল বেড ও ২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, চট্টগ্রাম-৯ আসনের সাংসদ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবসার উন্নয়নে কাজ করছেন, পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ নিরাপদ রাখতে কাজ করছেন। তার পাশাপাশি করোনার প্রকোপ শুরু থেকে চট্টগ্রামের সরকারি হাসপাতাল গুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যেইভাবে উনারা বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করছেন তা সত্যিকার অর্থেই প্রশংসনীয়।
সিএসই সহায়তা প্রদান দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক ব্যবসায়ীরাও সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে অনেক চিকিৎসা সামগ্রী ও অনুদান প্রদান করছেন। এইটি একটি অদ্বিতীয় ঘটনা, এই রকম নজির দেশের কোথাও আছে নাকি আমার জানা নেই, আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
শিক্ষা উপমন্ত্রী আরো বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কোন অন্যায় কারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। স্লিপ বানিজ্য ও দালালদের আনাগোনা বন্ধ করা হয়েছে। এই বিষয়ে চমেকহা এর পরিচালক সাহেব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র এই মেডিকেলে অপকর্ম করে বেড়াতো এইগুলো থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১০০ শয্যার একটি বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতাল করছেন এই হাসপাতালে, সেইটা নিয়েও অনেক চক্রান্ত করা হয়েছে।
আমাদের সকলের প্রচেষ্টার কারণে তা সফল হয়নি। এই চক্র হাসপাতালে কেউ কোন কিছু দিলে সেইটা নিয়েও চক্রান্ত করে। সরকারি হাসপাতাল গুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি পাক তারা সেইটা চাই না।
রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানাবো আমার আপনার ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য অপরাধীদের যাতে প্রশ্রয় না দেই। আমরা যদি প্রশ্রয় না দেই তাহলে তারা কখনোই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। তাই আমি নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানাবো দয়া করে এদের আশ্রয় – প্রশ্রয় দেবেন না। সরকারের পাশাপাশি সমাজের সামর্থ্যবানদের সরকারি হাসপাতালে সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এগিয়ে আসত্ব অনুরোধ জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী।
বিশেষ অতিথি বক্তব্যে আসিফ ইব্রাহিম বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন একটি জরুরী বিষয় । চট্টগ্রাম হলো কমার্শিয়াল শহর। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও চট্টগ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হবে। আজকের এই দিনে বলতে হচ্ছে যে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত ’সোনার বাংলা’।
তিনি রাজনৈতিক চিন্তার পাশাপাশি অর্থনৈতিক চিন্তাধারায়ও ছিলেন বেশ সুদূরপ্রসারী । যখন তিনি পাকিস্তান সরকারের অর্থনৈতিক পদে ছিলেন, তখনই তিনি বাঙালী উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার ছিলেনে এবং যেখানে মোট রিজার্ভ এর শুধুমাত্র ১০% বরাদ্দ ছিল পূর্ব পাকিস্তানের জন্য, তা বৃদ্ধির ব্যাপারে সচেষ্ট ছিলেন। বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করে রেখেছেন । তিনি তার সারে তিন বছর শাসনাআমলে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন।
১৯৭২ সালে অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র আট বিলিয়ন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শূন্য। সঞ্চয় জিডিপির মাত্র ৩ শতাংশ। বিনিয়োগ জিডিপির ৯ শতাংশ। তিনিই প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রনয়ন করেছিলেন এবং এতে ব্যক্তি খাতের কার্যকর বিকাশের পরিবেশ সৃষ্টির প্রস্তাবনা করে এখনকার উন্নয়নকে শুভ সূচনা দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়, বাংলাদেশ তখন স্বল্পোন্নত দেশ ছিল। জিডিপি এখনকার চেয়ে বেশি ছিল। গত ১২ বছরে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সফলতার চূড়ায় নিয়ে গেছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস.এম হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে এবং মেজর(অবঃ) মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সেলিম আকতার চৌধুরী, সিএসই এর সম্মানিত পরিচালক মো. লিয়াকত হোসেন চৌধুরী, এফসিএ, এফসিএমএ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন উর রশিদ, এজিএম এবং হেড অব ট্রেনিং, আরিফ আহমেদ, এজিএম এবং কোম্পানি সেক্রেটারী রাজীব সাহা, ব্যবস্থাপক মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী, চমেকহা এর উপ-পরিচালক ডাঃ আফতাবুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ডাঃ রাজীব পালিত প্রমুখ।
















