খাগড়াছড়ি: ‘খাগড়াছড়ি জেলায় বিদ্যমান পাহাড়, নদী ও গিরিপথের নৈসর্গিক সৌন্দর্য প্রিন্ট, ইলেট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে হবে। ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে এখানকার সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরতে হবে। এতে করে সৌন্দর্য্য পিপাসু মানুষ সহজে খাগড়াছড়ির সমৃদ্ধ পর্যটন সম্ভাবনা সম্পর্কে আরো সহজে জানতে পারবে। ফলে, পর্যটন খাত বিকশিত হবে। এছাড়া, নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।’
খাগড়াছড়িতে রোববার (৪ জানুয়ারি) ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংবাদ মাধ্যম ও সুশীল সমাজের ভূমিকা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলার প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান এসব কথা বলেন। খাগড়াছড়ি জেলার প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় আঞ্চলিক তথ্য অফিস, পিআইডি চট্টগ্রাম এ সভার আয়োজন করে। পিআইডি চট্টগ্রামের সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
পিআইডি চট্টগ্রামের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর হোসেন আহসানুল কবীরের সভাপতিত্বে সভায় জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুমানা আক্তার, উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান মো. শানে আলম, জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার রতন খীসা, জেলার তথ্য অফিসার বেলায়েত হোসেন বক্তব্য দেন।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সদর উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমদ, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, সিনিয়র শিক্ষক ইউছুপ আদনান, সাংবাদিক তরুন কুমার ভট্টাচার্য, শাহরিয়ার ইউনুছ, মো. আজিমুল হক। স্বাগত বক্তব্য দেন পিআইডি চট্টগ্রামের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ নুরুল হক।
মূল বক্তব্যে বলা হয়, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ মানে হচ্ছে বস্তুবাদী চেতনার পাশাপাশি মানবিক চেতনার বিকাশ ঘটানো এবং যার যতটুকু সম্পদ ও সামর্থ্য আছে সেটির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে প্রযুক্তিকে দক্ষতার সহিত ব্যবহার করা।স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি গঠনে সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।’
সভায় বক্তারা বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে স্থানীয় পর্যটন সম্ভাবনা কাজে লাগানোর পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী জোরদার করতে হবে।’
বক্তারা সরকারি দপ্তরগুলোতে তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ সহজ করার পরামর্শ দেন।
জেলার প্রশাসক আরো বলেন, ‘খাগড়াছড়ি পর্যটন নির্ভর জেলা। দেশের অনন্য সুন্দর পর্যটন স্থানগুলো এখানে অবস্থিত। কাজেই এখানকার পর্যটনকে ব্রান্ডিং করেই স্মার্ট খাগড়াছড়ি নির্মাণ করতে হবে। সে লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন কাজ করছে। অন্যান্য সরকারি দপ্তর এবং গণমাধ্যমকে এ ব্যাপারটি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।’