নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গাবিষয়ক প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যৌথভাবে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করে। এটাকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে নতুন করে আশা দেখছে বাংলাদেশ।
এই উদ্যোগের রাজনৈতিক গুরুত্ব আছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রথমবারের মতো ঐকমত্যের ভিত্তিতে রোহিঙ্গাসংক্রান্ত জাতিসংঘের প্রস্তাব গ্রহণ রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করে। কারণ দীর্ঘমেয়াদী সংকট সমাধানে এতে রাশিয়া ও চীনসহ সব দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে।
বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন, আমরা খুব খুশি। এটি দেখিয়েছে যে, সব দেশ রোহিঙ্গা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
মন্ত্রী বলেন, চীন, রাশিয়ার মতো যেসব দেশ এর আগে (বিষয়টি নিয়ে) বাধা সৃষ্টি করেছিল এবার তারা বাধা সৃষ্টি করেনি, যার অর্থ সবাই সংকটের সমাধান চায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে এবং চীন ইতিমধ্যে কিছু হস্তক্ষেপ করেছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব বাধ্যতামূলক না হওয়ায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অগ্রগতি দেখার আশা প্রকাশ করেন এম এ মোমেন।
জুন মাসে বাংলাদেশ মিয়ানমার সম্পর্কিত জাতিসংঘের প্রস্তাব থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কারণ রোহিঙ্গা সমস্যা অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সে প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা (সেই সময়) বলেছিলাম, যদি আপনারা রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে কথা না বলেন, তবে প্রস্তাবনা অর্থহীন হবে।
















