ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : আসন্ন ১১ নভেম্বর অনুষ্টিত হতে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় বাড়ছে নির্বাচনী সহিংসতা । উপজেলার সমিতিরহাট, জাফতনগর ও সুন্দরপুর ইউনিয়নে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মাঝে সংগঠিত হয়েছে এসব অপ্রীতিকর ঘটনা।
সর্বশেষ গতকাল রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে সুন্দরপুর ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল আজমের গণসংযোগে ১০/১৫ যুবক লাঠিসোঁটা দিয়ে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পৌর সদরের চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের আন্ডা মার্কেটের পাশে হামলার ঘটনা ঘটে।
এতে আহত হন – আহমদ রহিম (৫০), মুহাম্মদ আফসার (৫০), মুহাম্মদ লােকমান (২২), মুহাম্মদ হেলাল (৪০), মুহাম্মদ নাজিম (৪০) ও ওমর সানি (২০) এদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনায় আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ফেটে রক্তাক্ত হতে দেখা গেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদুল আজম জানান, “৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ শেষে আমরা ৬ নং তথা বি ওয়ার্ডে যাওয়ার পথে বিবিরহাটের দক্ষিণে আন্ডামার্কেটের পশ্চিমে নৌকার প্রার্থী শাহনেওয়াজ সাহেবের ২০/৩০ দলীয় লোকজন আমার কর্মী ও সমর্থকদের ওপর পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করে হামলা চালায় এতে আমার বেশি কয়েকজন কর্মী ও সমর্থক গুরুতর আহত হয়। আহতরা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে।”
এছাড়াও গত শুক্রবার সন্ধ্যার জাফতনগর ইউনিয়নেও ঘটেছে একই ঘটনা ওই ইউনিয়নের আনাসর প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুহাম্মদ জিয়া উদ্দিন জিয়ার একটি মিছিলের উপর কিছু দুষ্কৃতিকারী লাঠিসোঁটা, হকিস্টিক নিয়ে হামলা চালিয়ে বাজারের দক্ষিণ পাশে নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা।
এঘটনায় সাতজন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। আহতরা হলেন-মুহাম্মদ আফাজ (২০), মুহাম্মদ ফরহাদ (২৫), মুহাম্মদ ফাহিম (২৪), নুর উদ্দিন (৩০), মুহাম্মদ নাছির (৩২), অজ্ঞাত পথচারী ও মুহাম্মদ সরােয়ার (৩৭)। এ সময় কয়েকটি মােটরসাইকেল ও একটি সিএনজি ট্যাক্সি ভাংচুর করা হয়।
তাছাড়াও উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে ব্যানার ও পোস্টার ছিড়ে ফেলা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা দেওয়ার মতই ঘটনা ঘটছে। উপজেলার ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নের নৌকা প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ জানে আলমের ব্যানার ও পোস্টার ছিড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুঠোফোনে প্রতিবেদককে তিনি জানান, গত ২৭ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দের পর আমি আমার ইউনিয়নে প্রচারণা শুরু করি। যার অংশ হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় আমার পোস্টার ও ব্যানার টাঙানো হয়।
কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি রাতের আধাঁরে সেসব পোস্টার ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছেন। আমার কোন পোস্টার,ব্যানার লাগাতে পারছি না রাতের আঁধারে সব ছিড়ে ফেলা হচ্ছে এছাড়াও নৌকা ক্যাম্প স্থাপনের জন্য জায়গা ভাড়া করা হলে সে জাগয়ার মালিককে হুমকি-ধুমকি দিচ্ছে যাতে করে আমি ক্যাম্প স্থাপন করতে না পারি। কারা এসব পোস্টার ছিড়ছে প্রশ্ন করা হলে, তার প্রতিপক্ষের লোকজন এমন কাজ করছে বলে জানান তিনি।”
এই ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর গণসংযােগে নৌকার সমর্থকরা বাধা দিয়েছে। এতে ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ নিয়ে থানায় কোন অভিযােগ হয়নি।
















