চট্টগ্রামে বাবা-মা ও মেজো ভাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাদ্দাম হোসেন নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সাদ্দাম নিহত মোস্তফা সওদাগরের বড় ছেলে।
পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ব্যবসায়ী মোস্তফা সওদাগর (৭০), তার স্ত্রী জোসনা বেগম (৫৫) ও তাদের ছেলে আহমদ হোসেনের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত রয়েছে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর হোসেন মামুন বলেন, স্থানীয়দের তথ্য ও ঘটনার পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকেও নিজ বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
চাঞ্চল্যকর এ তিন হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এবং অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দুটি টিম।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা পিবিআই কর্মকর্তা ও স্থানীয় একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা সওদাগরের জোরারগঞ্জ এলাকায় একটি মুদির দোকান আছে। তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। এদের মধ্যে মেয়ে জুলেখা বেগমের আগেই বিয়ে হয়েছে। আর ছোটো ছেলে আলতাফ হোসেন স্ত্রী নিয়ে বারৈয়ারহাট এলাকায় থাকেন।
জোরারগঞ্জের মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকায় মোস্তফা সওদাগরের সঙ্গে তার স্ত্রী, বড় ও মেজো ছেলে এবং বড় ছেলের স্ত্রী বসবাস করেন। বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় খুন হন মোস্তফা সওদাগরসহ তিনজন। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ছাদ থেকে সাদ্দাম বাড়িতে ডাকাত পড়েছে বলে চিৎকার দেন। এরপর স্থানীয়রা এসে বাড়িটি ভেতর থেকে বন্ধ দেখেন। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, নিহত মোস্তফা সওদাগরের ছোটো ছেলে আলতাফ বড় ছেলে সাদ্দামের স্ত্রীর বোনকে বিয়ে করেন। বিষয়টি বাবা-মা মেনে না নেওয়ায় আলতাফ স্ত্রীকে নিয়ে বারৈয়ারহাট এলাকায় থাকেন। এনিয়ে নানা বিষয়ে বড় ছেলে ও তার স্ত্রীর সঙ্গে বাবা-মায়ের প্রায় কলহ হতো। ধারণা করা হচ্ছে, এ ধরনের কলহের জেরে বুধবার রাতের কোনো এক সময়ে খুন হতে পারেন ওই তিনজন।
















