করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত সার্বিক কার্যাবলী চলাচল বিধি-নিষেধ সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষে চট্টগ্রামে ১৮ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, বিআরটিএ, চট্টগ্রাম এর ২ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর ১ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
আজ (২৬ জুলাই) সোমবার দিনব্যাপী চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকানপাট, শপিংমল খোলা রাখা, অপ্রয়োজনে রাস্তায় ঘুরাফেরা করা, ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত রাস্তায় বের হাওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধে মোট ২১৮ টি মামলায় ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৮ শত টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত ও মনিটরিং কার্যক্রমে সেনাবাহিনী, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যগণ সার্বিক সহযোগিতা করেন।
নগরীর বন্দর, পতেঙ্গা ও ইপিজেড এলাকায় অভিযান পরিচালনায় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন। তিনি ২৮টি মামলায় মোট ৭ হাজার ২ শত টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
চকবাজার, বাকলিয়া ও কর্ণফুলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। এ সময় ৫ টি মামলায় ১৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
পাশাপাশি আকবরশাহ, বায়েজিদ, হালিশহর ও পাহাড়তলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নূরজাহান আক্তার সাথী। এ সময় ১৭ টি মামলায় মোট ৯ হাজার ৬০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
খুলশী, চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদ ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় ১৬ টি মামলায় ২২ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খিন ওয়ানু চকবাজার, বাকলিয়া ও কর্ণফুলী এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় ১২ টি মামলায় ৩ হাজার ১০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও খুলশী এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাজিব হোসেন ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও প্লাবন কুমার বিশ্বাস এ সময় ২২ টি মামলায় ১৪ হাজার ৩৫০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
অন্যদিকে নতুনব্রীজ, মইজ্জারটেক এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন বিআরটিএ এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার দাস। তিনি ১৯ টি মামলায় ৪ হাজার ৬০০ টাকা অর্থদন্ড আদায় করেন।
বাকলিয়া, চকবাজার, চান্দগাঁও, পাচলাইশ, হালিশহর, পাহাড়তলি, লালখান বাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী। তিনি ১৯ টি মামলায় ৪ হাজার ৬০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তার রোধে জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
















