নৃত্য এমনই একটা মাধ্যম, যা আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে একটা আকৃতি দেয়, দুঃসময়ে-দুর্দিনে নৃত্য ও অন্যান্য উপস্থাপন-কলা মানুষের মধ্যে আনন্দ বিতরণ করে, যা আমাদের সত্তার ও সময়ের পরিচয় ঘটায়। নৃত্য হচ্ছে মানুষের মনোজাগতিক প্রকাশভঙ্গি। ওড়িশী এন্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার চট্টগ্রাম বর্তমানে ৫০০ ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নৃত্যের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
সাথে জৈষ্ঠ শিক্ষার্থীরাও আছে। করোনাকালে স্থবিরতা, হতাশা থেকে শিশুদের দূরে রাখতে নিরবিচ্ছন্নভাবে অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি অনলাইন নৃত্যের অনুষ্ঠান অব্যাহত রেখেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত দুইদিন দুই কবির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে ‘ওড়িশী এন্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার’ দু’দিনব্যাপী নৃত্যানুষ্ঠানমালা “নব রবি কিরণে… অঞ্জলি লহ মোর”-শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
আমরা জানি, শিশু একটি সর্বকালীন, সার্বভৌম ও সর্বজনীন সত্তা। মানুষ জন্মের পরই সমর্পিত হয় শৈশবের মমতাময় আশ্রয়ে, অর্থাৎ পরিণত প্রতিটি মানুষকে শৈশবের বিচিত্র ও রহস্যময় পথ পাড়ি দিতে হয়।
সবার মনেই তাই বসবাস করে এক ‘চিরায়ত শিশু’। ছোটদের প্রতি তাঁর আস্থা ও প্রত্যাশা প্রোথিত হয়েছে। ১৩৪৪ সালে মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন সম্পাদিত ‘শিশু সওগাতে’র প্রথম সংখ্যায় ‘শিশু সওগাত’ নামের কবিতায় : ওরে শিশু, ঘরে তোর এল সওগাত/আলো পানে তুলে ধর ননী-মাখা হাত।/নিয়ে আয় কচি মুখে আধো আধো বোল,/তুলতুলে গালে ভরা টুলটুলে টোল/।
রবীন্দ্রনাথ যখন ছোটদের জন্যে লিখেছেন, তখন তিনি মনে প্রাণে নিজেই ছোট্ট শিশু বনে গেছেন। শিশুদের চাওয়া পাওয়া, আধো আধো কথা বলা তাই তার কাব্যে হয়েছে জীবন্ত, প্রাণবন্ত। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা ও বাঙালির সাথে মিশে থাকা অন্তপ্রাণ এক অস্তিত্ব। বৃহৎ এক প্রতিষ্ঠান এই দুই মহান মানুষ।
সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন, ওড়িশী এন্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার চট্টগ্রামের পরিচালক প্রমা অবন্তী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহযোগী শিক্ষিকাগণ নিবিড় দাশগুপ্তা, জয়িতা দত্ত, রিয়া বড়ুয়া, আফসানা ইকবাল হিয়া, সহকারী পর্যবেক্ষকঃ ময়ূখ সরকার।
ওটিডিএমসি মিডিয়া উইং পর্ষদের অভ্র বড়ুয়া (মিডিয়া উইং প্রধান), অনিশ দাশ (সহকারী মিডিয়া উইং), শীর্ষেন্দু দত্ত,(সহযোগী মিডিয়া উইং) , সুকন্যা মিত্র(সদস্য), সৃজা দাশ(সদস্য), অদ্রিজা ঘোষ(সদস্য), তাসনিয়া বিনতে আইউব (সদস্য)।