ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হবার পর পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটা জয় দিয়ে শুরু করে উইন্ডজরা। তবে পরের দুটি ম্যাচে হেরে বিপাকে পড়ে যায় স্বাগতিক দল।
চতুর্থ ম্যাচে আবারও ঘরে দাঁড়িয়েছে ক্যারিবীয়রা। এই ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ পায় উইন্ডিজ। শুরুতে লেন্ডল সিমন্স দ্রুত রান তুলতে থাকলেও আরেক ওপেনার এভিন লুইস বিদায় নেন ৭ রান করে।
এরপর ক্রিস গেইলও (৫) খেই হারান কাগিসো রাবাদার বলে। শিমরণ হেটমেয়ারকে ৭ রানে ফেরান জর্জ লিন্ডে। এরপর দলীয় ৭০ রানের মাথায় ৪৭ (৩৪) রানে লিন্ডের নলে এলবিডব্লু হয়ে বিদায় নেন সিমন্স।
তাবারিজ শামসির বলে ক্যাচ দিয়ে নিকোলাস পুরানের ১৬ রানে বিদায়ের পর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। ৫ ছয় ও ২ চারে ২৫ বলে খেলেন অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস। শেষে ফাবিয়ান অ্যালেনের ১৯ রানে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৬৭ রান।
প্রোটিয়াদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন জর্জ লিন্ডে, তাবারিজ শামসি ও ১ উইকেট করে নেন অ্যানরিক নরকিয়া, কাগিসো রাবাদা।
লক্ষ্য টপকাতে নেমে ওপেনার রেজা হ্যানরিক্স২ রানে বিদায় নেন ক্রিস গেইলের বলে ক্যাচ দিয়ে। এরপর টেম্বা বাভুমাকে ২ রানে ফেরান ওবেদ ম্যাককয়। এখান থেকেই প্রোটিয়াদের ব্যাটিং ধ্বসের শুরু।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা প্রোটিয়াদের কিছুটা স্বস্তি দেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক। তবে ডোয়াইন ব্রাভোর বোলিং তোপে কক বিদায় নেন ৬০ (৪৩) রান করে।
শেষে ক্যারিবীয়দের সঙ্গে আর কুলোয় উঠতে পারেনি প্রোটিয়া ব্যাটাররা। ৯ উইকেটে ১৪৬ রানে থামে ইনিংস। ২১ রানের জয়ে সিরিজ বাঁচিয়ে মাঠ ছাড়ে উইন্ডিজ। এই জয়ে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ দাঁড়াল অলিখিত ফাইনালে। আগামী ৪ জুলাই গ্রানাডার ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।