সুপেয় পানির জন্য ধুকছে রাঙ্গামাটির দুর্গম পাহাড়ি এলাকা বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নের মানুষ। পাহাড়ে বসবাসের কারণে সারাবছর এসব গ্রামবাসীকে স্থানীয় ঝিরি-ঝরনার পানির ওপর নির্ভর হয়ে জীবনধারণ করতে হয়। ঘরের সব কাজসহ পানি পানের জন্য এ ঝিরি-ঝরনার পানি ব্যবহার করা হয়।
সাধারণত বর্ষার সময় থেকে শীত মৌসুম পর্যন্ত ঝিরি-ঝরনা থেকে পানি সংগ্রহ করা গেলেও মাঘ-ফাল্গুন থেকে পাহাড়ে সুপেয় পানির সঙ্কট দেখা দেয়। সরকারের উদ্যোগে দুর্গম কিছু কিছু পাহাড়ি গ্রামে রিংওয়েল ও টিউবওয়েল স্থাপন করা হলেও শুকনো মৌসুমে এসব থেকে পানি পাওয়া যায় না। গ্রামবাসী আশপাশের নিচু জায়গায় কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করলেও শুকনো মৌসুমেও এসব কুয়া শুকিয়ে যায়।
বিলাইছড়িতে প্রায় ২০০ বসবাসকারী পরিবার আধঘণ্টা হেঁটে পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে অনেকে পানি সংগ্রহ করে আবার অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটে পাশের গ্রাম কিংবা হ্রদ থেকে পানি সংগ্রহ করছে। এ যেন এক কলসির ঘামের দামে এক কলসি পানি সংগ্রহ করছে পাহাড়ি এসব মানুষ।
এই গ্রামটি আয়তনে ৩০ একরের এই জায়গা, প্রায় ২ কিলোমিটার। যেতে হলে রুমা হয়ে অথবা বিলাইছড়ি ফারুয়া হয়ে টানা একদিন হাতলে পৌছা যায় বড়থলি এই পুকুর পাড়ে।দুইপাড়ে রয়েছে দুইপাড়া পুকুর পাড়া ও প্রাজং পাড়া নামে,রয়েছে সেনাবাহিনীর একটি বড় ক্যাম্পও।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বিশাল এই রাইংখ্যং লেকের পানি সবসময় পান করা যায়না।বছরে কোন একসময় হঠাৎ বিষাক্ত হয় বলে কথিত আছে।
তাই পাহাড়ি ঝিঁড়ির পানি একমাত্র ভরসা।এখানকার সবগ্রামে পানি টেপের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হয়।
কিন্তু পুকুর পাড়ে এধরণের কোন ব্যবস্থা নাথাকায় চরম দূর্ভোগে ভুগছেন এলাকায় জনগণ।তাই স্থানীয়দের দাবি সরকারি ভাবে কোন সহযোগিতা না পেলে এন,জি,ও এবং কোন দাতাগোষ্ঠী সহযোগিতা কামনা করেন।
এবিষয়ে ৪ নং বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতুমং মার্মার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার ইউনিয়ন পরিষদ হতে দিতে পারি নাই। এটা খরচ খুব বেশি প্রয়োজন।অনেক বেশি দূর থেকে আনতে হবে। অনেক বড় সমস্যা। সেরকম বাজেট না পেলে কিভাবে করবো।এ বিষয়ে আমি উপজেলা প্রশাসনে কাছে আবেদন করেছি। বর্তমান ইউএনও খুব একজন ভালো অফিসার উনি হয়তো দেখবেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন উদ্যোগ গ্রহন করেছি,ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা হয়েছে, সম্ভাব্যতা সম্পর্কে অবহিত করবেন। তিনি জাপান ইন্টারন্যাশনা এজেন্সি ( JIKA) কে নিয়ে কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরো জানান, সময় ও সুযোগ অনুযায়ী পুকুর পাড়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং তাদের সুখ -দুঃখের কথা শুনবেন