চট্টগ্রামের স্বনামধন্য সংগীত প্রতিষ্ঠান আনন্দধ্বনির আয়োজনে গতকাল তিনদিনব্যাপী ২২শে শ্রাবণ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০ তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত করে স্মরণানুষ্ঠান ‘অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো’। তিনদিব্যাপী আয়োজনের প্রতিটি অনুষ্ঠানমালা দর্শকদের যেমন মুগ্ধ করেছে তেমনি প্রাণের সঞ্চার সৃষ্টি করেছে সকলের হৃদয়ে।
এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, সুরের সাধক খ্যাতিমান সংগীতজ্ঞ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম কন্ঠযোদ্ধা প্রয়াত ওস্তাদ মিহির নন্দী। আনন্দধ্বনির সকল শিল্পীরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে।
১ম দিনের আয়োজনে কথামালায় অংশ নেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক-নাট্যব্যক্তিত্ব,নাট্য নির্দেশক অধ্যাপক ড. কুন্তল বড়ুয়া,
আবৃত্তিতে অংশ নেন বাচিক শিল্পী অঞ্চল চৌধুরী,তোমার অসীমে প্রানমন লয়ে- সংগীতশিল্পী বনানী দত্ত, এবার দুঃখ আমার অসীম পাথার-সংগীতশিল্পী কেশব জিপসী, আরো আরো, প্রভু আরো আরো,-সংগীতশিল্পী কাবেরী দাশগুপ্তা,’শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে, পড়ুক ঝরে-তোমারি সুরটি আমার মুখের ‘পরে, বুকের ‘পরে, পুরবের আলোর সাথে পড়ুক প্রাতে দুই নয়ানে-‘রবীন্দ্রসংগীতের সাথে নৃত্য পরিবেশন করে ওড়িশী এন্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার এর সহযোগী শিক্ষিকাবৃন্দ-জয়িতা দত্ত, রিয়া বড়ুয়া, তূষি ভট্টাচার্য ও আফসানা ইকবাল হিয়া।
সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন প্রমা অবন্তী।
প্রযোজনা- ওড়িশি এন্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার চট্টগ্রাম’। তুমি বাহির থেকে দিলে বিষম তাড়া- সংগীতশিল্পী মাধবী চৌধুরী, এই করেছ ভালো নিঠুর, হে – সংগীতশিল্পী অমৃতা সেন, আমি বহু বাসনায় প্রাণপণে চাই – সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন সাথী (ভারত), সন্ধ্যা হলো গো ও মা – সংগীতশিল্পী অনামিকা মল্লিক, যে রাতে মোর দুয়ারগুলি – সংগীতশিল্পী শ্যামলি পাল, অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো সেই তো তোমার আলো।
সকল দ্বন্দ্ব-বিরোধ-মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেই তো তোমার ভালো। রবীন্দ্রসংগীতের সাথে নৃত্য নিবেদন করেন প্রমা অবন্তী।
২য় দিনের অনুষ্ঠানমালায় ছিল-
প্রচণ্ড গর্জনে আসিল একি দুর্দিন- দারুণ ঘনঘটা, অবিরল অশনিতর্জন ঘন ঘন দামিনী-ভুজঙ্গ-ক্ষত যামিনী, অম্বর করিছে অন্ধনয়নে অশ্রু-বরিষন- রবীন্দ্রসংগীতের সাথে নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন শিল্পী সর্বাণী দত্ত, ঐন্দ্রিলা ভৌমিক, ঈষিকা দাস ঈষি, ইউশা জাহান, আদৃতা দাশগুপ্ত কৃপা ও প্রিয়ন্তী বড়ুয়া।
নৃত্য পরিচালনায়-শিক্ষার্থীদের সমবেত প্রচেষ্টা।
সার্বিক তত্বাবধানে-প্রমা অবন্তী।
প্রযোজনা-ওড়িশি এন্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার’।সংগীতপর মধ্যে- আমার ব্যথা যখন আনে আমায় – সংগীতশিল্পী অনিরুদ্ধ সেনগুপ্ত, প্রভু তোমা লাগি আঁখি জাগে – সংগীতশিল্পী গোপা দাশগুপ্তা,
আমার সকল দুখের প্রদীপ- সংগীতশিল্পী প্রদীপ কুমার দাশ। আবৃত্তি-বাচিক শিল্পী অনন্যা চৌধুরী পিউ
তোমার আমার এই বিরহের অন্তরালে – সংগীতশিল্পী পাপিয়া দে। দুঃখের তিমিরে যদি জ্বলে -সংগীতশিল্পী অপর্না চৌধুরী, আর রেখো না আধাঁরে -সংগীতশিল্পী শিপ্রা চৌধুরী, আমার আধাঁর ভালো – সংগীতশিল্পী অপর্ণা সেন, আমি মারের সাগর পাড়ি দেবো – সংগীতশিল্পী তন্বী দত্ত সুখে আমায় রাখবে কেন – সংগীতশিল্পী রুম্পা সেন। আবৃত্তি- বাচিক শিল্পী অঞ্চল চৌধুরী।
সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানমালায় ছিল- যখন তুমি বাঁধছিলে তার – সংগীতশিল্পী রতন বিশ্বাস, তোমার কাছে শান্তি চাব না – সংগীতশিল্পী সোমা দাশগুপ্তা, বসে আছি হে কবে শুনিব তোমার বানী -সংগীতশিল্পী বর্ষা দে। যারে নিজে তুমি ভাসিয়েছিলে – সংগীতশিল্পী শ্রাবনী দেববর্মণ, বাহিরে ভুল হানবে যখন – সংগীতশিল্পী তুলি দাশগুপ্তা, আজি বিজন ঘরে নিশীথরাতে -সংগীতশিল্পী রুপশ্রী হোড় মল্লিক, আজ জ্যোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে – সংগীতশিল্পী সুপর্না রায়। নৃত্য পরিবেশনা-এ পথে আমি গেছি বারবার-প্রমা অবন্তী। প্রযোজনা-ওড়িশি এন্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার,চট্টগ্রাম। যতবার আলো জ্বালাতে চাই – সংগীতশিল্পী অনুরীনা চৌধুরী তুলি।
আবৃত্তি -বাচিক শিল্পী অঞ্চল চৌধুরী।
এছাড়াও সংগীত পরিবেশনায় ছিল প্রয়াত ওস্তাদ মিহির কুমার নন্দীর কন্ঠে কিছু রেকর্ডেড রবীন্দ্রসংগীত। সংগীত পরিবেশনা করেন প্রয়াত পন্ডিত মিহির কুমার নন্দী’র দৌহিত্রী অদ্বিতীয়া চৌধুরী বুনন। অনুষ্ঠানের ব্যানার অলংকরণ ও নৃত্যের সম্পাদনা করেন অভ্র বড়ুয়া।
সবশেষে,’আনন্দধ্বনি’র প্রয়াত অধ্যক্ষ
পন্ডিত মিহির কুমার নন্দী’র সহধর্মিণী সংগীতশিল্পী নন্দিতা নন্দী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
















