আলকরণ ওয়ার্ড ছাত্রলীগের উদ্যোগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার জীবনী শীর্ষক পাঠচক্র বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়।
আলকরণ ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস রানার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা তারেক ইমতিয়াজ ইমতু,ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক ভি.পি মোহাম্মদ ইউনুছ, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহ আলম ইমন, সাবেক ছাত্রনেতা সোহেল আলম হিরো, বিজয় ঘোষ, প্রকৌঃ সবুজ চৌধুরী, ছাত্রলীগনেতা জুয়েল দে, কিশোর ঘোষ, মেহেরাব উদ্দিন অপি,তন্ময় দেব বর্মন, ইরফান উদ্দিন, মিজান উদ্দিন বাপ্পি, মাকসুদ আলম, রবিউল হোসেন শুভ, শিহাব, আজহার ইসলাম বিশাল, আতিকুর তুষার, আরিফুর রহমান, মীর মোহাম্মদ ইমাদ প্রমুখ।
পাঠচক্রে আলোচকবৃন্দ বলেন,বাঙালির নিরন্তর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে অমর ইতিহাসের সৃষ্টি হয়েছে সেই ইতিহাসের কিংবদন্তী নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের মধ্যে, যিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রেরণা, সাহস এবং উৎসাহের কেন্দ্রবিন্দু এবং সহযোদ্ধা।
বঙ্গমাতা ছিলেন এমন এক প্রেরণাদাত্রী, আপোষহীন, দূরদর্শী, কষ্টসহিষ্ণু, প্রত্যয়ী, নিরহংকারী, বাঙালি আদর্শ বধূ এবং মায়ের প্রতিচ্ছবি যিনি বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নিজের সব কষ্টকে জয় করেছেন কিন্তু নিজে কোনদিন পাদপ্রদীপের আলোয় আসতে চাননি।
মার্টিন লুথার কিংয়ের স্ত্রী করেটা স্কট কিং, ফ্রাঙ্কলিক রুজভেল্টের স্ত্রী ইলিয়ানর, জুয়ান পেরোনোর স্ত্রী ইভা পেরোন, নেহরু পত্নী কমলা, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের পত্নী বাসন্তী দেবী, নেলসন ম্যান্ডেলা পত্নী উইনি যেমন তাঁদের কর্মগুণে ইতিহাসে ঠাঁই করে নিয়েছেন, ঠিক একইভাবে ইতিহাসে চির ভাস্বর থাকবেন বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব, যাঁর ত্যাগ-তিতিক্ষা ও প্রচেষ্টাই বঙ্গবন্ধুর ‘জাতির পিতা’ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে।
এ পাঠচক্র থেকে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের জন্য বিশ্ব জনমত তৈরীতে ভূমিকা রাখা ব্রিটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিংয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।
















