তিনি নিজে ছিলেন ‘অদৃশ্য মানব’। এগারোজনের একজন হয়ে মাঠে নামতেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ তাঁকে খুঁজে পেত না। যে মঞ্চে তাঁর ‘অদৃশ্য মানব’ হিসেবে দৃশ্যমান হয়ে ওঠা, দুই দশক পর একই মঞ্চে এবার আরেক ‘অদৃশ্য মানব’র আবির্ভাব। আর নতুন এই ‘অদৃশ্য মানব’কে খুঁজে পেয়েছেন পুরোনো সেই ‘অদৃশ্য মানব’ই।
নিশ্চয়ই হেঁয়ালি মনে হচ্ছে? কল্পবিজ্ঞান আর থ্রিলারের কোনো ‘অদৃশ্য মানব’এর গন্ধ পাচ্ছেন?
যেটিই হোক, ‘অদৃশ্য’ শব্দটা রহস্যময়ই। এই আছে এই নেই। অন্যভাবে বললে, থেকেও না থাকা কিংবা না থেকেও থাকা। বিশ্বকাপ ফুটবলে এমনই এক অদৃশ্য মানবের দেখা মিলেছিল ২০ বছর আগে। দুই দশকের পুরোনো স্মৃতিতে যদি ধুলার আস্তরণ না পড়ে, তাহলে গিলবার্তো সিলভার কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপজয়ে ‘অদৃশ্য মানব’হয়ে উঠেছিলেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। কাতারে এবার ‘সেলেসাও’ জার্সিতে আরেকজন ‘অদৃশ্য মানব’ খুঁজে পেয়েছেন গিলবার্তো। তিন অংশে গড়া নামের প্রথম দুই অংশ কার্লোস হেনরিক। ফুটবল–বিশ্ব চেনে তৃতীয় অংশ-কাসেমিরো।
















