নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাইলেজ নিয়ে জটিলতা নিরসনের দাবিতে লাগাতার বিক্ষোভ শুরু করেছে ট্রেন চালকরা।
মূল বেতন থেকে মাইলেজ বেশি হতে পারবে না— এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত ডিসেম্বর থেকে বিক্ষোভ করে আসছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফরা( ট্রেন চালক, গার্ড ও টিটিই)।
এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন জোড়া শাটল ট্রেন চালাবেনা লোকোমাস্টাররা। মূলত মাইলেজ ইস্যুতে আজ ২৬ জানুয়ারি থেকে না চালানোর এই সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা।
এদিকে মাইলেজ নিয়ে জটিলতা আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে সমাধান না হলে ৩১ জানুয়ারি থেকে ট্রেন না চলানোর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রেন চালক, গার্ড ও টিটিইরা।
জানা গেছে, ব্রিটিশরা থাকাকালীন সময় থেকে রেলওয়ে রানিং কর্মচারীরা রেলওয়ে কোডে ‘পার্ট অব পে’ হিসেবে নিয়মিত মাসিক বেতন ও অর্জিত মাইলেজ সংযুক্তভাবে পেয়ে আসছিলেন।
কিন্তু ২০১৯ সালে হঠাৎ মাইলেজ বেতন বাজেট থেকে আলাদা করে টিএ খাতে সংযুক্ত করা হয়। টিএ খাতে অর্থের বরাদ্দ কম থাকায় মাইলেজ নিয়ে সৃষ্টি হয় নানা জটিলতা। পরে জটিলতা নিরসনে ‘মাইলেজ ভাতা’ নামে আলাদা কোড খোলা হয়। যেখানে আইবাস প্লাস প্লাস সিস্টেমে রানিং কর্মচারীদের অর্জিত মাইলেজ সর্বোচ্চ ৩ হাজার মাইল বা ৩০ দিনের বেশি হতে পারবে না বলে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে রানিং স্টাফদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।
গত বছরের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শামীম বানু শান্তি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চলন্ত ট্রেনে দৈনিক ১০০ কিলোমিটার কিংবা তার চেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করলেও ওইদিনের বেতনের ৭৫ শতাংশের বেশি মাইলেজ ভাতা পাবেন না সংশ্লিষ্ট রানিং কর্মচারীরা। আর মাস শেষে এই মাইলেজ মূল বেতনের বেশি হবে না।
















