প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আধুনিক জগতের সঙ্গে তালমিলিয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) প্রশিক্ষিত হবে এবং তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য দেশে-বিদেশে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আরও সুযোগ আমরা সৃষ্টি করে দিচ্ছি।
স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স-এসএসএফের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে (ভার্চ্যুয়াল) মঙ্গলবার একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
এসএসএফ-এর সদস্যদের দক্ষতার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী নয়, বিদেশি অতিথিরা আসলেও তাদের নিরাপত্তা দেওয়া- এটা একটা কঠিন দায়িত্ব। তবে আমি ধন্যবাদ জানাই, অভিনন্দন জানাই, যখনই যিনি (অতিথি) এসেছেন আমাদের এসএসএফ সদস্যরা এতো চমৎকারভাবে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন তাদের (বিদেশি অতিথি) প্রত্যেকেই প্রশংসা করেছেন। সকলেই এসএসএফ সদস্যদের দক্ষতা এবং আন্তরিকতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি আমরা ব্যবহার করছি। তাতে জীবন গতিশীল হচ্ছে, কর্মক্ষেত্র বিস্তৃত হচ্ছে। আমাদের সুযোগ দিচ্ছে। সেই সঙ্গে অপরাধীরাও সুযোগ পাচ্ছে, জঙ্গিরাও সুযোগ পাচ্ছে।
বিশেষ এই বাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিয়মিতই দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সুযোগ থাকবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
মুজিববর্ষে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মারক হিসেবে এসএসএফ এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান সম্পাদিত ‘মুজিব-বাঙালি-বাংলাদেশ’ নামে একটি ই-বুক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং সরকারঘোষিত অন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রপতি নিরাপত্তা বাহিনী গঠিত হয়। পরবর্তীসময়ে এই বাহিনীকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স হিসেবে নতুন নামকরণ করা হয়। বাংলাদেশ সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ ও আনসার বাহিনী প্রেষণে নিযুক্ত অফিসারদের নিয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স গঠিত।