চট্টগ্রাম নগরী ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মোট ৩২৬টি কেন্দ্রে করোনার গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই টিকাদান কার্যক্রম চলবে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। নগরীতে প্রথম দিন প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
সকালে ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
নগরীতে টিকা দিতে সকাল থেকে কেন্দ্রে ভিড় করেছেন ২৫ বছর ও তদূর্ধ্বরা। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স্ক, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। সিটি করপোরেশন এলাকায় মডার্নার টিকা এবং উপজেলায় সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে।
প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া পৌরসভা এলাকার বসবাসরতরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। অন্যদিকে সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪১ ওয়ার্ডের ১২৩টি বুথে টিকাদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি করে টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও চসিক করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ডা. সেলিম আখতার চৌধুরী জানান, প্রতি কেন্দ্রে ৩০০ জন করে টিকা নিতে পারবেন। তিনটি বুথে একদিনে ৯০০ জন টিকা পাবেন। এর বাইরে স্থায়ী ১১টি কেন্দ্রে টিকাদানও অব্যাহত থাকবে।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, চট্টগ্রাম উপজেলাগুলোতে মোট ইউনিয়ন ১৯০টি। এছাড়া ১৩টি পৌরসভা রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভায় একটি করে টিকাদান কেন্দ্রের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে ৬০০ জন টিকা নিতে পারবেন। টিকাদানে প্রতি বুথে একটি করে টিম কাজ করছে। প্রতি টিমে ২ জন ভ্যাক্সিনেটর (টিকাদান কর্মী) ও ৩ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত আছেন।
















