নগরীর স্টেশন রোড়ে একটি হোটেলে রাত্রিযাপন করে করে ৪৩ টাকা ভ্যাটসহ ৫০০ টাকা হোটেল ভাড়া দিয়ে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার জিতেছেন হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ গ্রামের নাসির উদ্দিন (৬০)।
আজ সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে আগ্রাবাদ হোটেলের সম্মেলন কক্ষে ভ্যাট দিয়ে লটারি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন চট্টগ্রামের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন।
তিনি বলেন,গত ২৯ মে নগরের হোটেল গোল্ডেন ইনে রাতযাপন করেছিলেন নাসির উদ্দিন। সেখানে ৫০০ টাকা ভাড়া পরিশোধের সময় ৪৩ টাকা ভ্যাট দেন তিনি। আজ তিনি ৪৩ টাকা ভ্যাট দিয়ে ১০ হাজার টাকা জিতলেন।এটা সবার জন্য আনন্দের। আমরা চাই ভ্যাটদাতারা ইএফডি চালান সংরক্ষণ করে সবাই পুরস্কার জিতুক।এটা আমাদের জন্য সম্মানের বিষয়। চালান সংরক্ষণ করে ৫ তারিখে ড্রয়ের দিকে নজর রাখবেন সবাই।
ভ্যাট কমিশনার আরো বলেন, রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ভ্যাট দেওয়া। ইএফডি চালান পেলেই বুঝবেন ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। ভ্যাট ফাঁকি রোধ করার উপায়।চালান জমা দিয়ে ভ্যাটের যেকোনো অফিস থেকে সহজে পুরস্কার নেওয়া যায়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও হয়রানি নেই। এ পুরস্কার আয়করমুক্ত বলেও জানান তিনি।
এবার চট্টগ্রামে ১৬ জন চতুর্থ পুরস্কার (১০ হাজার টাকা) জিতেছেন। এর মধ্যে আগ্রাবাদ ডিভিশন থেকে ১৩ জন, চান্দগাঁও ১ জন, পটিয়া ১ জন, চট্টলা থেকে ১ জন পুরস্কার পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে যুগ্ম কমিশনার মুশফিকুর রহমান বলেন, ৫ জুন পঞ্চম লটারিতে বিজয়ী একজন চালান সংরক্ষণ করে মিডিয়ায় নজর রেখে আবেদন করেছেন। এ রকম ক্রেতা সচেতনতা বাড়লে ইএফডি চালান বুঝে নিলে পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা বাড়ে। আমরা অনুরোধ জানাবো, অনেক পুরস্কার বিজয়ী খুঁজে পাওয়া যায় না। ১ লাখ টাকার পুরস্কার জেতার পরও দাবিদার পাইনি। চালান কাটার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। চালান বুঝে নিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।
হোটেল গোল্ডেন ইন লিমিটেডের ম্যানেজার (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) আলী আজগর বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন থাকায় অনেক সুবিধা হয়েছে। ভ্যাট চালান সংক্রান্ত লেখালেখির ঝামেলা কমেছে, সময় সাশ্রয় হচ্ছে। এটা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানাই।
উপ কমিশনার শাহীনূর কবির পাভেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম কমিশনার মো. সেলিম শেখসহ ভ্যাটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার