চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৩.৮ মিলিমিটার। থেমে থেমে হওয়া এ বৃষ্টিপাতে কয়েকবার ডুবেছে চট্টগ্রাম নগরের নিম্নাঞ্চল। এমনকি নগরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মা ও শিশু হাসপাতালের নিচতলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কয়েকবার পানি ওঠানামা করেছে। এতে করে হাসপাতালে থাকা রোগী ও তাদের স্বজনরা মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে হওয়া এ বৃষ্টিপাতে নগরীর হালিশহর, আগ্রাবাদ, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, খাতুনগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা কয়েকবার হাঁটু কিংবা কোমর পানিতে ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
মা ও শিশু হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘একটু ভালো চিকিৎসার উদ্দেশ্যে আমার বড় ভাইয়ের ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু এখানে যা অবস্থা, আমরা তো দূরের কথা এখানকার চিকিৎসকরা পর্যন্ত মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন। আমাদের শহরের এ ভোগান্তি কবে শেষ হবে জানি না।’
জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রাম নগরে একটু ভারি বৃষ্টিপাত হলেই নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে- এটিই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি বৃষ্টিপাতেও পানি ওঠার কারণ হচ্ছে- জোয়ারের পানির অস্বাভাবিক উচ্চতা। মৌসুমের কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বঙ্গোপসাগরে জোয়ারের পানির উচ্চতা এক মিটারেরও বেশি বেড়েছে। যার প্রভাবে জোয়ারের সময় মাঝারি বৃষ্টিপাতেও চট্টগ্রাম নগরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা ও আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৩.৮ মিলিমিটার। মাঝারি বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার প্রধান কারণ- সমুদ্রে জোয়ারের পানির অস্বাভাবিক উচ্চতা। স্বাভাবিক সময়ে জোয়ারের পানির উচ্চতা থাকে তিন থেকে চার মিটার। অথচ আজ জোয়ারের পানির সর্বোচ্চ উচ্চতা ছিল ৫.২৭ মিটার। অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে এক মিটারেরও বেশি উচ্চতা ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণত জুলাই-আগস্ট মাসে জোয়ারের পানির উচ্চতা বেশি থাকে। তার সঙ্গে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাত হওয়ায় শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।’
















