জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় কর্তৃক আজ ৮ জুলাই জামালখান, খাতুনগঞ্জ, বক্সিরহাট ও দেওয়ান বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সকাল ১০টা হতে পরিচালিত অভিযানে ১০ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ৪৯ হাজার জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে অননুমোদিত রং, অননুমোদিত রং মিশ্রিত চিপস, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ধ্বংসসহ ০১ টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়।
এপিবিএন-৯ এর সহায়তায় উপর্যুক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
কোতোয়ালী থানার জামালখান রোডের জনসেবা ফার্মেসীকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ধ্বংস করা হয়। জনৈক ক্রেতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্যামল স্টোরকে বেশিদামে সয়াবিন তেল বিক্রয় করায় ৩ হাজার টাকা ও মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় ২ হাজার জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
বক্সিরহাটের মেসার্স জহির এন্ড ব্রাদার্সকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায়, অননুমোদিত রংমিশ্রিত চিপস বিক্রিয় করায় ৬ হাজার টাকা, শাহ আমানত ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে একই অপরাধে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত চিপস ধ্বংস করা হয়।
বক্সিরহাট কাঁচা বাজারের আলমগীরের ডিমের দোকানকে মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় ১ হাজার টাকা, শহিদের দোকানকে ১ হাজার, ওসমান গণির দোকানকে ১ হাজার জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
দেওয়ান বাজার ডিসি রোডের এ এম ট্রেডার্সকে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মক্কা স্টোরকে অননুমোদিত রং রাখায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত রং ধ্বংস করা হয়। ফ্রেশ এন্ড পিউর লাইফকে উৎপাদন-মেয়াদ বিহীন মাঠা, দই ও মোড়কজাত দুধ সংরক্ষণ করায় ৮ হাজার জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহায় নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজার পরিদর্শন করে আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপণের মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়। ব্যবসায়ীবৃন্দকে পণ্য ক্রয়ের রশিদ সংরক্ষণ, পণ্য বিক্রয়কালে বিক্রয় রশিদ প্রদান, মূল্যতালিকা প্রদর্শন করতে অনুরোধ করা হয়।
বাজারসমূহ পরিদর্শনকালে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক পরিধানপূর্বক নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য ক্রয়- বিক্রয় এবং পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতারিত হলে অধিদপ্তরের হট লাইন নম্বর ১৬১২১ এ অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করা হয়। জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।