করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ঘোষিত ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ঘোষিত কোঠোর বিধি-নিষেধ সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ ৫ জুলাই দিনব্যাপী জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের দশজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন ।
এ সময় সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে না চলায় বিভিন্ন দোকান , রেস্টুরেন্ট এবং শপিং মলে অভিযান পরিচালনা করে অর্থদণ্ড প্রদান করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ কে স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালনে সচেতন করা হয়।
অভিযানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত নগরীর ডবলমুরিং ও বন্দর এলাকায় ৯ টা মামলায় মোট ২৬শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।পাহাড়তলি ও আকবরশাহ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, তিনি ২ টি মামলায় ৩শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
অন্যদিকে ইপিজেড ও পতেঙ্গা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সোনিয়া হক, এ সময় তিনি ৩ টি মামলায় ১৩শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। পাঁচলাইশ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মুহাম্মদ ইনামুল হাছান, এ সময় তিনি ২ টি মামলায় ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
বায়েজিদ ও খুলশী এলাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৭ টি মামলায় ১ হাজার ৯২০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ পাচলাইশ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩ টি মামলায় ২শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
অন্যদিকে সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব নিবেদিতা চাকমা , তিনি ৫ টি মামলা দায়ের করে ২৪শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। চাদগাঁও এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সুরাইয়া ইয়াসমিন , এ সময় তিনি ২ টি মামলায় ১২শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
পাশাপাশি খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১ টি মামলায় মোট ১শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস । এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৮ টি মামলায় ১৭শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। চকবাজার ও বাকলিয়ায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব প্রতীক দত্ত, তিনি ২ টি মামলায় ৪শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তার রোধ করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।