চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে দূর্বল করার জন্য এখন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামকে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। আমাদের সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করার জন্য পতিত স্বৈরাচারের দোসররা নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে। তাই, উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে এ মুহূর্তে চট্টগ্রামের সাধারণ জনগণকে ধৈর্য ধরতে হবে। কোন চক্রান্তের ফাঁদে পা দেয়া যাবে না। আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই। চট্টগ্রামে হত্যাকাণ্ড ও নাশকতায় যারা জড়িত, তাদের সবাইকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে সিটির জহুর হকার্স মার্কেটস্থ চিকিৎসা নির্বাহী প্রকৌশলি মাঠে চট্টগ্রাম সম্মিলিত হাকার্স ফেডারেশনের উদ্যোগে ফুটপাতের হকারদের শৃংখলা আনায়ন ও সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে হকার্স প্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় সভা ও কমিউনিটি পুলিশিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল হাশে আরো বলেন, ‘হকাররা চোর, ডাকাত বা ছিনতাইকারী নয়। তারা স্বল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসায় করে। মার্কেটের ব্যবসায়ীদের যাতে ক্ষতি না হয়, সে দিকে খেয়াল রেখে হকারারা ব্যবসায় করে। রাস্তায় যাতে যানযট সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়টি তারা বিবেচনায় রাখে। তবে, হকারের কারণে যাতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র শাহাদাত হোসেন প্রশ্নবৃদ্ধ না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। শাহাদত হোসেন বিএনপির দলীয় মেয়র হলেও তিনি চট্টগ্রাম সিটির আওতাধীন প্রতিটি নাগরিকের মেয়র।’
তিনি কমিনিউটি পুলিশিংয়ে যারা কাজ করবে, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ঠিকানা যাচাই করতে দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম সম্মিলিত হাকার্স ফেডারেশনের সহ সভাপতি আবুল খায়ের টিটুর সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক হকার্স বিষয়ক সম্পাদক আবদুল বাতেন, আলকরণ ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম মিয়া, রিয়াজউদ্দিন বাজার শ্রমিক দলের সভাপতি মো. সেলিম খান, মহানগর শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, হকার্স নেতা মহসিন দুলাল, আবুল কালাম, হারুন সওদাগর, মো. রিয়াদ, আবদুল মোতালেব, শফিকুর রহমান, মাঈন উদ্দিন, মো. বাবুল, মো. ডালিম।