করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ঘোষিত ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ঘোষিত কোঠোর বিধি-নিষেধ সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ ৪ জুলাই দিনব্যাপী জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের দশজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
এ সময় সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে না চলায় বিভিন্ন দোকান , রেস্টুরেন্ট এবং শপিং মলে অভিযান পরিচালনা করে অর্থদণ্ড প্রদান করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ কে স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালনে সচেতন করা হয়।
অভিযানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত নগরীর ডবলমুরিং ও বন্দর এলাকায় ৪ টা মামলায় মোট ৬শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।পাহাড়তলি ও আকবরশাহ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, তিনি ১ টি মামলায় ২শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
অন্যদিকে ইপিজেড ও পতেঙ্গা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আশরাফুল হাসান, এ সময় তিনি ৮ টি মামলায় ৬ হাজার ৫শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। পাচলাইশ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ জিল্লুর রহমান, এ সময় তিনি ৫ টি মামলায় ১৫শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। বায়েজিদ ও খুলশী এলাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা ইসলাম মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৬ টি মামলায় ৮শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নূরজাহান আক্তার সাথী হালিশহর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২ টি মামলায় ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। অন্যদিকে হালিশহর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব প্লাবন কুমার বিশ্বাস, তিনি ৩ টি মামলা দায়ের করে ১২শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
চান্দগাঁও এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব প্রতীক দত্ত, এ সময় তিনি ৪ টি মামলায় ১৪৫০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। পাশাপাশি কোতোয়ালি ও সদরঘাট এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৬ টি মামলায় মোট ১৯শ’টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব হুছাইন মুহাম্মদ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫ টি মামলায় ১৮শ’ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তার রোধ করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।