চট্টগ্রাম: অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও থানাগুলো পুরোপুরি সক্রিয় হয়ে উঠার ব্যয়িত সময়ের মধ্যে কিছু দুষ্কৃতিকারী চট্টগ্রামের কয়েকটি এলাকায় রাতের আঁধারে পাহাড় কাটা শুরু করেছে। সিটির আকবর শাহ এলাকা সেগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এর ফলে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সিটির আকবর শাহ এলাকায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টিম পাহাড় কাটা এলাকা পরিদর্শন ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলাবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম অভিযানে নেতৃত্ব দেন। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক মো. হাসান হাছিবুর রহমানসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে দুইজনকে পাহাড় কাটা অবস্থায় হাতে নাতে ধরা হয়। এ সময় তাদের হাতে কোদাল ও কাস্তে পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জায়গার মালিকের নির্দেশে সবজি চাষ করার জন্য তারা পাহাড়ের মাটি কাটছে। এ সময় মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ ও পরিবেশ সংরক্ষন আইনের আওতায় অপরাধী দুইজনকে জরিমানা করা হয়। এদের একজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও অন্যজনকে দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে দশ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
ফাহমিদা খানম বলেন, ‘পাহাড় কাটা রোধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করলে ভারী বৃষ্টির ফলে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়াও বিশ্বের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৩০ সালের মধ্যে বায়ো-ডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় পানি ও জমির ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ করার জন্য আইন পাশ করা হয়েছে। এসব বিবেচনা করে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কোন ধরনের নদী, পুকুর, ডোবা যেমন ভরাট করা যাবে না; তেমনি পাহাড়ের মাটিও কাটা যাবে না। কোন পাহাড় ব্যক্তিমালিকানাধীন হলেও সে পাহাড়ের মাটি কাটা যাবে না।’
যারা এত দিন পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করেছেন, তাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে নিজ দায়িত্বে সরে যাওয়ার জন্য তিনি নির্দেশ দেন। অন্যথায়, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অপসারণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।