সরকারি নির্দেশনার আলোকে চকরিয়ায় সারা দেশের ন্যায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউন কার্যকর নিশ্চিত করতে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও মাঠে উপজেলা প্রশাসন।
সকাল ৮টা থেকে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পুলিশ ও সেনা বাহিনীর যৌথ টহল শুরু হয়েছে।
একইসাথে সাতদিনের সরকারি বিধি-নিষেধ বা কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছেন কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ জাফর আলম ও চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী।
সকাল থেকেই বিভিন্ন বাজার, মার্কেট ও শপিংমল মনিটরিংয়ে করছেন চকরিয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে মহাসড়কে কিছু মালবাহী গাড়ী চলাচল করলেও গণপরিবহন কোথাও চোখে পড়েনি। তবে কিছু ব্যাটারী চালিত রিকশা, টমটম ও কিছু সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। মুদিও দোকান ও বেকারী খোলা থাকলেও হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ রয়েছে। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ছাড়া দোকানসহ বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ দেখা যায়। সড়কে মানুষের চলাচলও অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেকটা কম লক্ষ্য করা যায়।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, করোনা ভাইরাস রোধে সরকার এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষনা করেন। সরকারী নির্দেশনায় মানুষের চলাচলে ‘বিধি-নিষেধ’ আরোপ করে ২১ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে ও জনগণকে সতর্ক করতে প্রশাসন সকাল থেকে মাঠে কাজ করছেন। কোন জরুরী কোন প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে গেলেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনগণকে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।