চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ট্রাংক থেকে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দুইটি নম্বরপত্র উধাও হয়ে গেছে৷ এ ঘটনায় সিটির পাচলাইশ থানায় জেনারেল ডায়েরি (জিডি) করেছেন বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ দিদারুল আলম৷
গেল ১৯ মে সকাল দশটার দিকে ট্রাংকের তালা খোলা দেখতে পেয়েছিল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি নিশ্চিত হওয়ার ১৬ দিন পর মঙ্গলবার (৪ জুন) রাতে জিডি করা হয়েছে।
জিডির ব্যাপারটি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘আমরা একটি সাধারণ ডায়েরি পেয়েছি। ব্যাপারটি তদন্ত করা হচ্ছে।’
জিডিতে বলা হয়েছে, ‘আমার অফিস কক্ষে তিনটি ট্রাংকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা-২০২৩’-এর শিক্ষার্থীদের লক্ষাধিক নম্বরফর্দ রক্ষিত ছিল। গেল ১৯ মে সকাল দশটায় আমি দেখলাম, ওই তিনটি ট্রাংকের মধ্যে একটি ট্রাঙ্কের লাগানো তালা নেই। ব্যাপারটি আমি তাৎক্ষণিক চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে অবহিত করি। পরবর্তী ৩ জুন বিকাল তিনটার সময় ভাঙা ট্রাংকটি তদন্ত কমিটির নির্দেশক্রমে শিক্ষা বোর্ডের দুইজন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ট্রাংকে শিক্ষার্থীদের দুইটি নম্বরফর্দ নেই।’
বোর্ডের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, ‘শুধু নম্বরফর্দ নয়, ওই দুই শিক্ষার্থীর সইপত্রও গায়েব হয়ে গিয়েছে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কক্ষ থেকে। ব্যাপারটি আমাকে অবহিত করার সাথে সাথে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
১৬ দিন পর জিডি করার ব্যাপারে জানতে চাইলে রেজাউল করিম বলেন, ‘তিনি এত দিন পর এসে কেন জিডি করলেন, সেটা তিনি ভাল বলতে পারবেন।’
রেজাউল বলেন, ‘নম্বর ফর্দ ও সই পত্রের মত অতি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংরক্ষণ করার দায়িত্ব যার, এগুলো হারিয়ে গেলে দায়ও তার।’
এক প্রশ্নের উত্তরে বোর্ডে নবাগত চেয়ারম্যান বলেন, ‘তিনি যদি কোন দুর্নীতির সাথে জড়িত হন, তিনি তার শাস্তি পাবেন।’
















