ঢাকা: ঢাকায় মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) অ্যালামনাই ইউকে গালা নাইট ২০২৫ করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাগ্রহণ করা ৩০০ অ্যালামনাই এ অনুষ্ঠানে একত্রিত হয়ে দেশের উন্নয়নে তাদের অর্জন, নেতৃত্ব ও সাফল্য উদযাপন করেন। বৈশ্বিকভাবে যুক্তরাজ্যের অ্যালামনাই কমিউনিটি ধারাবাহিকভাবে যে প্রভাব রেখে চলেছে, গালা ইভেন্টে এ ব্যাপারে আলোকপাত করা হয় এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানটি হোটেল লা মেরিডিয়ান ঢাকায় উদযাপিত হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ইউকে অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক মেধা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রাখছে। এর সদস্যরা সবাই যুক্তরাজ্যের বিশ্বমানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন। তারা গবেষণা, নানা উদ্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ, সুশাসন এবং সৃজনশীল বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ গঠনে তাদের সাফল্য ও অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, যা একইসাথে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী ও টেকসই সম্পর্কেরও প্রতিফলন। মূল্যবোধ ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমরা সহযোগিতা ও ইতিবাচক প্রভাবের আমাদের এই যাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রত্যাশী।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস।
স্বাগত বক্তব্যে স্টিফেন ফোর্বস বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যফেরত স্নাতকদের সাথে যুক্ত থাকা ও তাদের ক্ষমতায়নে ব্রিটিশ কাউন্সিলের দীর্ঘদিনের অঙ্গীকার তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “ব্রিটিশ কাউন্সিল যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ, বোঝাপড়া এবং বিশ্বাস তৈরিতে কাজ করছে। আলামনাই ইউকে প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এমন দুই হাজার আটশ’র বেশি যুক্তরাজ্যফেরত বাংলাদেশী অ্যালামনাই কমিউনিটির সাথে যুক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত। আজকের আয়োজন তাদের সাফল্য উদযাপনের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। পাশাপাশি, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিতে এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করতেও এ ধরনের অনুষ্ঠান নতুন ক্ষেত্র তৈরি করবে।”
সন্ধ্যায় সৃজনশীলতা ও সংলাপের গুরুত্ব নিয়ে, অভিবাসন, আত্ম-পরিচয় ও প্রতিকূল অবস্থায় টিকে থাকার প্রতিপাদ্যে ড. শাহমান মইশানের পরিবেশনায় ‘আওয়ার হ্যামলেট: পারফর্মিং মাইগ্রেশন, ডিসপ্লেসমেন্ট, স্টেট ভায়োলেন্স, অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান ক্রাইসিস’ নাটকটি মঞ্চস্থ করা হয়।
গালায় অ্যালামনাই ইউকে নেটওয়ার্কের সাফল্যের গল্পও উপস্থাপন করা হয় এবং দেশজুড়ে জলবায়ু কার্যক্রম, উদ্ভাবন ও সামাজিক পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এমন গ্রাজুয়েটদের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের রূপান্তরমূলক প্রভাবকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যফেরত স্নাতকদের একত্রিত করা, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ভূমিকা রাখে অ্যালামনাই ইউকে গালা নাইট ২০২৫।
অ্যালামনাই ইউকে প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় রিসোর্স ব্যবহার, পেশাগত উন্নয়নের এবং বৈশ্বিকভাবে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নানা সুযোগ পান যুক্তরাজ্যের অ্যালামনাইরা। স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ডস, নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট ও লিডারশিপ প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে স্থানীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে ইতিবাচক প্রভাব রাখা যুক্তরাজ্যফেরত বাংলাদেশি স্নাতকদের সাফল্য ও অর্জন ধারাবাহিকভাবে উদযাপন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
















