মিরসরাই, চট্টগ্রাম: সীতাকুন্ড শঙ্কর মঠ ও মিশনের প্রাণ পুরুষ যোগাচার্য পরমহংস শ্রীশ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের ১১৫তম আবির্ভাব উৎসব উপলক্ষে বিশ্বশান্তি শ্রীশ্রীগীতাযজ্ঞ ও সনাতন ধর্ম সম্মেলন মঙ্গলবার (৫ মার্চ) মিরসরাইয়ের রাজাপুর গ্রামস্থ শঙ্কর মিশনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শঙ্কর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজের সভাপতিত্বে, শঙ্কর মিশনের কর্মকর্তা স্বপন কুমার নাথ ও শিপন কুমার শর্মার সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন ধর্মতত্ববিদ স্বদেশ কুমার চক্রবর্তী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সন্তোষানন্দ ব্রহ্মচারী, ধর্মানুরাগী মৃণালিনী চক্রবর্তী, শঙ্কর মঠ ও মিশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি তড়িৎ কুমার ভট্টাচার্য, সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত কুমার শীল, মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত কুমার শীল, সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, নিরোধ বরণ নাথ সুভাষ, ধর্মানুরাগী প্রদীপ কুমার মহাজন জহর ও লিটন পাল। স্বাগত বক্তব্য দেন শঙ্কর মিশন মিরসরাই উপজেলা শাখার কার্যকরী সভাপতি দিলীপ কান্তি নাথ।
অনুষ্ঠানে শঙ্কর মিশন মিরসরাই রাজাপুর শাখার নয়া কর্মাধ্যক্ষ জগদীশ্বরানন্দ ব্রহ্মচারীকে মানপত্র দিয়ে সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন রাজাপুর শঙ্কর মিশন উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রণব কান্তি শর্মা ও সাধারণ সম্পাদক রাজু চন্দ্র ঢালী। এছাড়া, আবির্ভাব উৎসব উপলক্ষে গুরু পূজা, মঙ্গলারতি, গুরুবন্দনা, হরি ওঁ কীর্ত্তন, শ্রীশ্রী চন্ডী পাঠ ও দীক্ষাদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুপুরে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ ছিলেন একজন অধ্যাত্ম মহাসাধক। সমাজকে আলোকিত করতে শুধু সীতাকুন্ড শঙ্কর মঠ নয়, বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার হয়ে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত তিনি গীতা প্রচার করে গেছেন। তাই, স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি ও গীতার আদর্শ-উদ্দেশ্য বুকে ধারণ করতে পারলে সমাজ ও দেশ থেকে অনাচার, অত্যাচার ও বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম দূরীভূত হবে।’
সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে নয়া প্রজন্মের হাতে মোবাইলের বদলে গীতা তুলে দেয়ার আহবান জানান বক্তারা।
বক্তারা আরো বলেন, ‘শ্রীমদ্ভগবদগীতা মানুষের স্বর্গ পাওয়ার উপায় বলেছেন। সমাজ ও দেশকে আলোকিত করতে সুদীর্ঘ ৮০ বছর নিরলসভাবে গীতা প্রচার করে গেছেন অধ্যাত্ম মহাসাধক জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ। বাংলার এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তের মানুষকে তিনি গীতামুখী করার চেষ্টা করেছেন। জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ নিজেই একজন জীবন্ত গীতা। গীতার আদর্শে জীবনকে গড়ে তুলতে হবে। শিশু থেকে শুরু করে সবাইকে গীতার আদর্শে জীবনকে গড়ে তুলতে হবে, গীতাকে জানতে হবে।’
বক্তারা বলেন, ‘বিশ্বজনীন ধর্মগ্রন্থ শ্রীশ্রীমদ্ভগবত গীতার কর্ম, জ্ঞান ও ভক্তি মানুষকে বিভিন্ন অপকর্ম থেকে বিরত রাখে। মঠ-মন্দির শুধু ধর্ম চর্চার সাধনা করে না, মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি ও সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।’
















