তা ছাড়া তাঁদের সমাবেশের আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সম্মেলন রয়েছে। এতে একদিকে যেমন সংঘাতের শঙ্কা তৈরি হবে, তেমনি তাঁরা সেখানে সমাবেশের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাবেন না।
এরপর ছাত্রলীগের সম্মেলন দুই দিন এগিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল এক দলীয় কর্মসূচিতে বলেন, ‘বিএনপি শুধু একটা অজুহাত দেখাচ্ছে যে ৮ তারিখে ছাত্রলীগের সম্মেলন, কী করে তারা ১০ তারিখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে। আজকে সে জন্য প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সম্মেলন ৬ তারিখে নিয়ে এসেছেন।’
এরপর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বিএনপির চাওয়া নয়াপল্টনের বদলে কেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, সে প্রশ্ন করা হয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে। জবাবে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমরা বিবেচনা করে দেখলাম যে পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশের অনুমতি দিলে এবং সেখানে কয়েক লাখ লোক জমায়েত হলে, তা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যাবে।
পার্টি অফিসের সামনে ৫০-৬০ হাজার লোক ধরবে। এতে রাস্তাঘাট ব্লকড হবে। নগরবাসীর কষ্ট হবে। গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে ও নাগরিক দুর্ভোগ যাতে না হয়, এসব দিক চিন্তা করে আমরা বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
জনীতি বিশ্লেষকদের অনেকে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের প্রস্তুতি কী জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সংঘাত হবে কেন? আমরা তো (বিএনপিকে) শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি দেব। তারপর যদি কেউ শান্তি ভঙ্গ করে, তাদের কঠোর হস্তে দমন করব।’
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমরা ডিএমপি এত দুর্বল না, আমাদের আদেশ ভায়োলেট করে, আদেশ অমান্য করে একটা কেউ কিছু করবে। জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য আমাদের যা যা করার দরকার, আমরা তা-ই করব।’
















