চলতি বছর দেশে এখন পর্যন্ত বজ্রপাতে ৩২৯ জন মারা গেছে। সবগুলো মৃত্যুই হয়েছে খোলা স্থানে। বিগত এক দশকে সংখ্যাটা ২ হাজার ৮০৬ জন।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষ্যে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ২০১৫ সালে বজ্রপাতকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সে বছর বজ্রপাতে মারা গিয়েছিলেন ২২৬ জন। এরপর ২০১৬ সালে ৩৯১ জন এবং ২০১৮ সালে ৩৫৯ জনের মৃত্যু হয় বজ্রপাতে। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যা কিছুটা কমে আসে, ১৯৮ জনের মৃত্যু হয় ওই বছর।
তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বে বজ্রপাতের ক্ষেত্রেও সাইক্লোনের মতো আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কতগুলো মেশিন তৈরি করা হয়েছে যেগুলো ৪০ মিনিট আগেই শনাক্ত করতে পারে বজ্রপাত হবে এবং কোথায় হবে সেটা বলতে পারে। তাই বজ্রপাতের ক্ষেত্রে আর্লি ওয়ার্নিং দেওয়ার মেশিনগুলো আমরা বসাবো।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনে বড় পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। অচিরেই এসব পরিবারকে বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে।
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য, ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে, কাজ করি একসঙ্গে’।
















