বাবলু দাশ, হাটহাজারী প্রতিনিধি: উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক রোহিঙ্গা নাগরিককে জাতীয়তা সনদ দিয়ে পাসর্পোট করতে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে ৮ নং মেখল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। না জেনে অপরিচিত ব্যক্তিকে জাতীয়তা সনদ দেওয়া বিষয়টি স্বীকার করেছেন ওই চেয়ারম্যান।
জানা যায়, গত ৯ জুন হাফিজুল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গাকে জাতীয়তা সনদর দেন ৮ নং মেখল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী। সেখানে হাফিজুল্লাহর পিতার নাম নুরুল আমিন, মায়ের নাম শামসুন নাহার এবং ঠিকানা খলিল সওদাগর বাড়ি, গ্রাম মোজাফ্ফরপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং যাকঘর রহিমপুর উল্লেখ আছে।
কিন্তু সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, ওই ঠিকানায় হাফিজুল্লাহ নামের কোনো ব্যক্তি নেই। ভুয়া ওই ব্যক্তি রোহিঙ্গা বলে ধারনা করছে এলাকাবাসী। এদিকে ওই জাতীয়তা সনদ ব্যবহার করে পাসপোর্টও তৈরি করেছেন হাফিজুল্লাহ। গত ২৩ জুন সে পাসর্পোটের ফরম পূরণ জমা দেন। সে ফরমের কপি প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।
এলাকাবাসী বলছেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে একজন চেয়ারম্যান না জেনে কাউকে জাতীয়তা সনদপত্র দিতে পারে না। এছাড়া আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন চৌধুরী রোহিঙ্গাকে পাসর্পোট করতে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
জাতীয়তা সনদপত্র দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মেখল ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, হাফিজুল্লাহ রোহিঙ্গা না কি আমি জানতাম না। আমার কাছে সনদের জন্য আসছে আমি সনদ দিয়েছি। কিন্তু পরে বিষয়টি আমি জেনেছি। এখন তদন্ত করে দেখছি।
হাটাহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শাহিদুল আলম জানান, ঘটনার বিষয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি সত্য যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
















