নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাক শিগগিরই মধ্য প্রাচ্যের এই দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রেরসেনা প্রত্যাহারে আলোচনা শুরু করবে। ব্যাপারটির সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আগস্টে ঘোষণা করা উচ্চ সামরিক কমিশন সংলাপ শুরু করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাক চুক্তির কাছাকাছি।’
সংলাপের লক্ষ্য ভবিষ্যতে প্রত্যাহারের জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নির্ধারণ করা।
যুক্তরাষ্ট্র চায় সেনাদের সময়সূচি ইরাকের বর্তমান পরিস্থিতি এবং তার সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার স্থিতিশীলতার প্রতিফলন ঘটাতে। বদলে ইরাকি নেতৃত্ব বিশ্বাস করে, প্রত্যাহারের সময়সীমা কোন অবস্থাতেই প্রভাবিত হওয়া উচিত হবে না।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী গেল ৫ জানুয়ারি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক জোট ইরাকের মাটিতে তাদের উপস্থিতির ন্যায্যতা ফুরিয়ে গেছে ও বাগদাদ দেশে বিদেশী সামরিক উপস্থিতি শেষ করার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইরাক সরকার বিদেশী সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারটি মোকাবেলা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি দ্বিপাক্ষিক কমিশনের কাঠামোর মধ্যে আলোচনা শুরুর তারিখ নির্ধারণের প্রক্রিয়াধীন ছিল।’
ইরাকের বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় হারাকাত আল-নুজাবা আন্দোলনের একজন নেতা আবু তাকওয়া নিহত হওয়ার পর এই বিবৃতি এসেছে।
বদলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয় পেন্টাগন গেল ৮ জানুয়ারি বলেছিল, ‘তারা এই মুহুর্তে ইরাক থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে না। বর্তমানে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় আড়াই হাজার সেনা ইরাকের বিভিন্ন ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র প্যাট রাইডার বলেছেন, ‘তিনি ইরাক সরকারের দায়ের করা ইস্যুতে কোন অনুরোধ সম্পর্কে অবগত নন।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইরাকের বৈধ সরকারের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী দেশটিতে অবস্থান করছে।’
