নিজস্ব প্রতিবেদক:
সংবাদ হচ্ছে নতুন ও সত্য তথ্যের সমন্বয়। সংবাদ লিখনের ক্ষেত্রে সময়জ্ঞান ও বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখার পাশাপাশি নিজস্ব মুন্সিয়ানা দেখাতে হবে। নিজের লেখার যোগ্যতা বলে প্রস্তুতকৃত বিবরণী গণমাধ্যমে প্রচার বা প্রকাশের মানোপযোগি করতে হবে।
তথ্য অধিদপ্তর ঢাকার জেষ্ঠ্য উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (প্রেস এন্ড মিনিস্ট্রিয়াল পাবলিসিটি) মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ আজ (১৯ নভেম্বর’২১) শুক্রবার চট্টগ্রাম পিআইডির সম্মেলনকক্ষে বাৎসরিক ৬০ জনঘন্টা প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে ‘‘সংবাদ লিখন’’ বিষয়ক কর্মশালা পরিচালনাকালে নতুনদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন।
চট্টগ্রাম পিআইডির এপিএ’তে কর্মকতা কর্মচারীদের জন্য বাৎসরিক ৬০ জনঘন্টা প্রশিক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তার অংশ হিসেবে এ অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষনের আয়োজন করা হয়।
তিনি সংবাদ কে মনোমুগ্ধকর কবিতা উল্লেখ করে বলেন, সংবাদ লিখনের ক্ষেত্রে নিজস্ব আবেগ অনুভূতি দুরে রাখতে হবে। সবসময় সত্য তথ্য দিতে হবে-যা সমাজ দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণ বয়ে আনবে। তিনি এক্ষেত্রে বিবরণী প্রস্তুতকৃত বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তথ্য অধিদফতর ঢাকার জেষ্ঠ উপ-প্রধান তথ্য অফিসার (প্রোটোকল) মোহাম্মদ আবদুল জলিল ‘‘দাপ্তরিক আচরণ ও শৃংখলা” বিষয়ে প্রশিক্ষনের দ্বিতীয় সেশন পরিচালনা করেন। এসময় তিনি সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধি, অফিস ও বাসার মধ্যকার পার্থক্য, সদ্ব্যবহার, বিনয় প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে আমাদের সব সময় আচরণ বিধিমালা মেনে চলতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত হওয়ার পাশাপাশি অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। যেকোন সময় সরকারি প্রয়োজনে কাজ করতে হবে।
প্রশিক্ষণের তৃতীয় সেশন পরিচালনা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবু নাছের। এ সেশনে তিনি ‘‘তথ্য অধিকার আইন” বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তথ্য কারা পাবে, কখন কিভাবে পাবে, কে দেবে, কি তথ্য দেওয়া যাবেনা এবং কোন কোন দপ্তর তথ্য প্রদানের দায় হতে অব্যাহতি প্রাপ্ত প্রভৃতি বিষয় তিনি সাবলিলভাবে উপস্থাপন করেন। এ সেশনের শেষ অংশে তিনি বাংলাদেশের গর্ব ‘‘পদ্মা বহুমূখি সেতু”র ওপর একটি সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
















