আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির উচিত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া। কিন্তু তারা তা নেয়নি, নেবেওনা।
সোমবার (১৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, অতীত কর্মকাণ্ডের ফল হিসেবে বিএনপি আজ নিশ্চিহ্ন প্রায়। বিএনপি রাজনৈতিক মাঠে না গিয়ে, নিরপত্তা বেস্টনিতে বসে শুধুমাত্র লিপ সার্ভিসের মাধ্যমে গণমাধ্যমের ওপর ভর করে টিকে আছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রতিবাদে এই বিবৃতিটি গণমাধ্যেমে দেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত সরকার, কারও ওপর দমন-পীড়নে বিশ্বাসী নয়। আওয়ামী লীগ আইনের শাসন ও বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। যেসব ব্যক্তি বা সংগঠন রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার দেশকে কখনোই বিএনপি শূন্য করতে চায়নি, এটি আওয়ামী লীগের রাজনীতিও নয়। বরং বিএনপি নীতিবিবর্জিত হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে বৈধতা দিয়েছে। এমনকি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। অতীত কর্মকাণ্ডের ফল হিসেবে বিএনপি আজ নিশ্চিহ্ন প্রায়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী সেনাশাসক জিয়াউর রহমান সেনা আইন ও সংবিধান লংঘন করে সেনা ছাউনিতে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলে উন্মত্ত, গণতান্ত্রিক নিয়মনীতি রক্ষা করে রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনায় সর্বদা ব্যর্থ হয়েছে। তাই বিএনপির মিথ্যা-বানোয়াট-ভ্রান্তিমূলক বয়ান বাংলার জনগণ সবসময় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন স্বাধীনতার সুফল বাংলার জনগণের নিকট পৌঁছে দিচ্ছিলেন তখনই দেশি-বিদেশি চক্র সম্মিলিতভাবে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পাকিস্তানি ভাবাদর্শের আদলে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী স্বৈরশাসক জিয়া ও এরশাদ বাংলাদেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে যায়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে খুনি-ঘাতকচক্র তার ও তার পরিবারের সদস্যদের চরিত্র হননের হীন অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তেমনিভাবে আজও একটি চিহ্নিত মতলবি মহল শেখ হাসিনা সরকার ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যত ষড়যন্ত্রই হোক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এগিয়েই যাবে ইনশাআল্লাহ।
















