খাগড়াছড়ি জেলাধীন মাটিরাঙ্গা উপজেলার গুমতি ইউনিয়নের সবিতা ত্রিপুরা(২০) নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর শ্বাষরোধ করে হত্যা করা মামলার আসামী মোহন ত্রিপুরা(৩৪)কে গ্রেফতার করেছে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৬আগষ্ট) সকালের দিকে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ।
সংবাদ সম্মেলনে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ বলেন,আসামী মোহন ত্রিপুরা দীর্ঘদিন ধরে সবিতা ত্রিপুরাকে শারীরিক সম্পর্কের কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত মঙ্গলবার দুপুরে বসত বাড়ির অদূরে মোহন ত্রিপুরা সবিতা ত্রিপুরাকে একলা কলসি ও পাতিল সহ স্থানীয় সমাজয় ত্রিপুরার লোংগার দিকে নামতে দেখে কৌশলে একা মোহন ত্রিপুরা তার পিছু নেয়। এক পর্যায়ে সবিতা ত্রিপুরাকে লোংগার পাড়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
পরে গোসল করার কথা বলে পূর্ব পার্শ্বের লোংগার পানিতে নামিয়ে শ্বাষরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে নিজে লোংগার পানি হতে উঠিয়ে পশ্চিম পার্শ্বের গভীর লোংগার পানিতে ফেলে দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
সবিতা এিপুরার হত্যার ঘটনায় তার পিতা
ধনরঞ্জন ত্রিপুরা বাদি হয়ে গত (৪ আগষ্ট) বুধবার মাটিরাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তারপর পরই পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ও নিজ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে গতকাল মাটিরাঙ্গার গোমতী ইউনিয়নের মরাটিলা এলাকা থেকে মোহন ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ। আসামী আদালতে উক্ত ঘটনার সাথে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টায় উক্ত ক্লুলেস হত্যা মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও জড়িত আসামীকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংগঠিত তিনটি গুরুতর জঘন্য অপরাধ যথা ধর্ষণ, হত্যা ও লাশ গুমের সাথে সংশ্লিষ্ট আসামীকে আইনের আওতায় আনতে পেরে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ স্বস্তিবোধ করছে। ভবিষ্যতে অনুরুপ যে কোন অপরাধের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনের প্রয়োগ ঘটিয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সদা সচেষ্ট থাকবে বলেও জানান।
















