বিপ্লবীদের স্মৃতি রক্ষার্থে বৃক্ষ রোপন ও চারা বিতরণ করেছে তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদ।
আজ ২৪ জুলাই, শনিবার সকাল ১০টায় বোয়ালখালী উপজেলা ৫নং সারোয়াতলী ইউনিয়নের বিপ্লবীদের গ্রাম বিপ্লবতীর্থ সারোয়াতলী গ্রামে বিপ্লবীদের স্মৃতি রক্ষার্থে ১০০টি ফলজ বৃক্ষের চারা বিতরণ ও বৃক্ষ রোপন করা হয়।এসময় স্থানীয় বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক
ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সিঞ্চন ভৌমিক বলেন এই করোনা কালীন সময়ে অত্যন্ত কষ্ট করে ফলজ বৃক্ষের চারা নিয়ে আপনাদের মধ্যে হাজির হয়েছি। আপনারা জানেন এই গ্রামে ৩০জন বিপ্লবীর জন্মস্থান। বিপ্লবী নেতা তারকেশ্বর দস্তিদারের জন্ম। নেতাজি সুভাষ বসুর শিক্ষক বেণীমাধব দাশের জন্ম। বিপ্লবী বীর রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের জন্ম। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি বিধান কৃষ্ণ সেনের জন্ম। চট্টগ্রামের প্রথম ব্যারিস্টার পূর্ন চন্দ্র সেনের জন্ম এরকম অনেক সাহসী সন্তানের জন্ম এদের কারনে উপমহাদেশের অনেক দেশপ্রেমিক মানুষের কাছে সারোয়াতলী গ্রামটি তীর্থভূমি হিসেবে খ্যাত। তাই জাতির দুর্যোগময় মুহূর্তে এইসমস্ত বীর সন্তানদের আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা খুবই জরুরি তাই আমাদের এই বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি। তিনি আরো বলেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন উপাদান হচ্ছে এই বৃক্ষ। অথচ স্রষ্টা প্রদত্ত মানবজাতির এই বিশাল উপহার মানুষেরই অবহেলায় হারাতে বসেছে। দিন দিন কমে যাচ্ছে গাছপালার পরিমান। হারাতে বসেছে পৃথিবীর স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য। এমনকি এর অভাবে আমাদের পৃথিবীর অস্তিত্ব এখন হুমকির সম্মুখিন। আজকে আমরা দেখি আমাদের দেশে গ্রামে-গঞ্জে, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে ১০ থেকে ২০ বছরের লিখিত নিয়ে বিভিন্ন সংগঠকরা রাস্তার পাশের খালি জায়গাগুলোতে গাছের চারা রোপন করেন। পরবর্তীতে অল্প বয়সে গাছগুলো কেটে ফেলা হয় অর্থের জন্য। যা পরিবেশের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। একটি চারা পূর্ণাঙ্গ বৃক্ষে রূপান্তর হতে সময় লাগে ৩০ থেকে ৪০ বছর। আর একশত বছর বয়স্ক একটি বৃক্ষকে আমরা বলি শতবর্ষী বৃক্ষ যাহা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উপহার হিসেবে রেখে যাওয়া আমাদের কর্তব্য। একজন দেশপ্রেমী মানুষ হিসেবে সরকারি জায়গায় বৃক্ষ রোপন করতে পারে, কিন্তু সরকারি জায়গা থেকে গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস করার কোন নিয়ম নাই। পরিশেষে সকলের কাছে বৃক্ষের চারাগুলো যত্ন করার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য সুরেশ চৌধুরী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক সাগর কান্তি চৌধুরী, ত্রিদীপ চৌধুরী, শিবু চৌধুরী, বাবু চৌধুরী, দীপক ভৌমিক।
















