চট্টগ্রামে সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টিপাত। আর এর মধ্যেও নগরীর প্রবেশ পথ ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ছাতা মাথায় নিয়েই তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
শনিবার (২৪ জুলাই) সরেজমিন মহানগরীর নতুন ব্রিজ, নিউমার্কেট, টাইগারপাস, জিইসি, ২ নম্বর গেট ও বালুচরা এলাকায় ঘুরে এমন তৎপরতা দেখা গেছে।
এ সময় সড়কে চলাচল করা গাড়িচালক ও অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারা বের হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় অপ্রয়োজনীয় কাজে বের হওয়া গাড়িকে ফেরত পাঠাতেও দেখা যায়।
বালুচরা চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যেও চেকপোস্টে অবস্থান করছি। এটি খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলা থেকে নগরের প্রবেশদ্বার। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে নগরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া অকারণে বের হওয়া বেশ কয়েকটি গাড়ির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লকডাউন বাস্তবায়নে শনিবার সেনাবাহিনীর সকাল-বিকেল দুই শিফটে ১০টি করে মোট ২০টি টিম মাঠে কাজ করছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাঁচ শিফটে জেলা প্রশাসনের ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। এছাড়া বিজিবি, র্যাব ও আনসার সদস্যরাও লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনায় পবিত্র ঈদুল আজহার পর গতকাল (শুক্রবার) সকাল থেকে ফের ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত।
বিধিনিষেধ ঘোষণার সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এবারের বিধিনিষেধ চলাকালে পোশাক কারখানাসহ সব ধরনের শিল্পকারখানা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। জরুরি সেবা, গণমাধ্যম ও খাদ্য উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট পরিবহন ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহনও বন্ধ থাকবে।
বিশেষ করে বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট (বিদেশগামী যাত্রী পরিবহনের জন্য শর্তসাপেক্ষে তিনটি এয়ারলাইন্স ছাড়া) বন্ধ থাকবে। জিরো টলারেন্সে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
















