বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর ট্রাক্টর (থ্রি হুইলার) ও বাসের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাক্টরে আগুনে লেগে যায়। এতে আহত হয়েছে ৭ জন। এতে সেতুর দুইপাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। শনিবার দিবাগতরাত ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর ১৯ নম্বর পিলারের কাছে উত্তরবঙ্গগামী লেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রোববার সকালে বিষয়টি বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার মজনু (৩৩) ও একই উপজেলার রমজান আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৪)।
বঙ্গবন্ধু সেতুর ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম (টিসিআর) সূত্র জানায়, রাত তিনটার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর উত্তরবঙ্গগামী লেনে শ্যামলী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস একটি ট্রাক্টরকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাক্টরটি উল্টে গিয়ে আগুন ধরে যায়।
এসময় ট্রাক্টর থাকা দুইজন আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত হয় আরো ৭ জন। আহতদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আগুনে পুড়ে যাওয়া দুইজনের লাশ সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুপশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক আরিফুল রহমান জানান, দুর্ঘটনায় কবলিত দুইটি পরিবহন সরানোর পর সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। এর আগে সেতুর উপর গাড়িতে আগুন লাগার সেতুর দুইপাশের মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। সকাল ৮টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুপশ্চিম টোলপ্লাজা হতে কড্ডার মোড় পর্যন্ত মহাসড়কে এক লেনে যানজট রয়েছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর আগুন লাগার ঘটনার পর থেকেই মহাসড়কে থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। সকালের পর কিছুটা গাড়ির চাপ কমেছে। ঢাকাগামী লেনে পরিবহনের চাপ বেশি রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানচলাচল স্বাভাবিক হবে।