বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
শনিবার (১৭ জুলাই) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে ৯৬তম ব্যাচের নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বিজিবিকে একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার সাংগঠনিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। বিজিবিকে ইতোমধ্যে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত করা হয়েছে।
নবীন সৈনিকদের উদ্দেশ্য ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বিডিআর এর ৩য় ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের চোরাচালান বিরোধী মূল্যবান বক্তব্যের স্মরণ করেন প্রতিমন্ত্রী। এসময়, চোরাচালান রোধে নবীন সৈনিকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনসহ ব্যক্তিগতভাবে সুদৃঢ়, সুশৃঙ্খল, নির্লোভ ও নির্ভীক সর্বোপরি উন্নত চরিত্রের অধিকারী হওয়ার উপদেশ দেন তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট’ এর অংশ হিসেবে সীমান্তে নতুন বিওপি, বিএসপি নির্মাণসহ অত্যাধুনিক সার্ভেইলেন্স ইকুইপমেন্ট সিস্টেম স্থাপন, এটিভি ও অত্যাধুনিক এপিসি, রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল, ভেহিক্যাল স্ক্যানার ও দ্রুতগামী জলযান সংযোজন হয়েছে। এছাড়া, এই বাহিনীতে অত্যাধুনিক এন্টি ট্যাংক গাইডেড উইপণ সংযোজন করা হয়েছে।
বিজিবি’র প্রশিক্ষণ কর্মকান্ডের কলেবর বাড়ানোর বিষয়কে বিবেচনায় রেখে চুয়াডাঙ্গাতে নতুন একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিজিবি’র রাজশাহীর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আনোয়ার লতিফ খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিজিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের প্যারেড পরিচালনা করেন মেজর মীর্জা মাঝহারুল ইসলাম।
গত ৩১ জানুয়ারি ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এ প্রশিক্ষণে ২শ ৪৮ জন রিক্রুট অংশ নেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়াও, আরও ৮টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের নবীন সৈনিকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছিল ২৪ সপ্তাহ।
















