প্রায় ৪ মাস পর স্বাভাবিক হলো বিলাইছড়ি হতে রাঙ্গামাটির জেলা সদরে লঞ্চ ও অন্যান্য নৌযান চলাচলের সুবিধা। একই সাথে সুবিধা হয়েছে ফারুয়া ইউনিয়নের সঙ্গেও।
কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পেলো ব্যবসায়ী, চাকরিজীবি থেকে শুরু করে বিলাইছড়ির সঙ্গে জরিত বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার মানুষদের।পূর্বের ন্যায় বেশী ভাড়া আর গুনতে হচ্ছে না যাত্রীদের।
এবিষয়ে লঞ্চের কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে, তারা জানান, উপজেলাটি অত্যন্ত দূর্গম।জেলা সদর হতে ৬০ কিলোমিটার দূরে। পৌছঁতে সময়ও লাগে প্রায় ৩ ঘন্ট। চলাচলের একমাত্র সুবিধা হলো নৌপথ।তারা আর-ও জানান, বছরে প্রায় তিন- চার মাস সরাসরি লঞ্চ চলাচল করতে পারেনা। তাই বর্তমানে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় যান চলাচলের একটু সুবিধা হয়েছে।এখন সরাসরি কমসময়ে পৌঁছে যাচ্ছি নিজ এলাকায়।
এবিষয়ে লঞ্চ চালক মো. শহীদ এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, শুকনো সিজনে আমাদের লঞ্চ এজবেন্ড পর্যন্ত যেতে পারতো।বর্তমানে পানি বৃদ্ধির ফলে এখন সরাসরি উপজেলা সদরে লঞ্চ পৌঁছে যাচ্ছে এটা আমদের সুবিধা যাত্রীদেরও সুবিধা।
এবিষয়ে ১ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান বলেন,প্রতিবছর জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারীতে পানি কমতে শুরু করে জুন-জুলাই পর্যন্ত রাইংখ্যং নদীর পানি শুকনো অবস্থায় থাকে, যায় ফলে চলাচলের দূর্ভোগ পোহাতে হয় উপজেলা মানুষের।
জুলাই-আগস্টের মধ্যে আবার বৃদ্ধি পেলে নৌ-পথে চলাচলের সুবিধা হয়।এবছরে হয়তো একটু দেরিতে পানি আসলো, চলাচলের কিছুতা সুবিধা হলেও এখনো বাড়ার অনেক বাকী,হয়তো বাড়বে।
















