বান্দরবানের লামায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন পরিচালিত কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের মাঠে খেলতে গিয়ে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের পাইপে ঢুকে দুই শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।হত্যার অভিযোগ এনে মৃত শিক্ষার্থী শ্রেয় মোস্তাফিজের চাচা জাকির মোস্তাফিজ মিলু বাদী হয়ে গতকাল বুধবার (৯ জুন) দুপুরের পর লামা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এতে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং স্কুলের আবাসিকের তত্ত্বাবধায়কদের আসামি করা হয়েছে। লামা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৭ জুন সকাল ১১টার দিকে স্কুলটির ষষ্ঠ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী শ্রেয় মোস্তাফিজুর রহমান (১১) এবং আব্দুল কাদের জিলানী (১২) খেলতে গিয়ে মারা গেছে। স্কুলের আবাসিকের এ দুই শিক্ষার্থী বৃষ্টির মধ্যে স্কুলের মাঠেই খেলছিল। তবে টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের স্রোতে ভেসে গিয়ে স্কুলের পার্শ্ববর্তী পানি নিষ্কাশন পাইপের ভেতর আটকা পড়ে তারা। সেখানেই তাদের দুইজনের মৃত্যু হয়। পরে লামার সরই ক্যায়াজুপাড়ার ঢেঁকিছড়া খালে ভাসতে থাকা কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের দুই শিশু শিক্ষার্থী শ্রেয় মোস্তাফিজুর রহমান ও আব্দুল কাদের জিলানীর মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় জনতা। এর মধ্যে মোস্তাফিজ ঠাকুরগাঁও পৌরসভার বুলবুল মোস্তাফিজের ছেলে এবং আব্দুল কাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের রানিহাট চকবহরম গ্রামের রজব আলীর ছেলে।