কায়সার হামিদ মানিক, কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার সদরের ইসলামপুরের খাঁন বীচটি বিনোদনের নতুন স্পর্ট হিসেবে রুপলাভ করে তরুন প্রজন্মদের কাছে।সড়কের দুই পাশ জুড়েই পানির শব্দ। খাঁন ঘোনা জাপানি সড়কের স্কুল পয়েন্টটি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যও বটে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভ্রমণ পিপাসুদের সারাক্ষণ আনাগোনা। একটু স্বস্তি নিতে মৃদু হাওয়া শান্তির পরশ পেতে ছুটে যান খাঁন ঘোনা সড়কের তীরে।
বিশেষ করে, পড়ন্ত বিকেলে লোকারণ্য হয়ে যায় সড়কের দু’পাশ, সেটি স্থায়ী থাকে সন্ধ্যার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত। বিশুদ্ধ বাতাসও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে ছুটে আসেন অসংখ্য মানুষ। তাদের কেউ সড়কের তীরে বসে আড্ডা দেন, কেউ বা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেন, কেউ বেড়ানোর জন্য ঘেরের নৌকায় উঠে, কেউবা মনের মানুষকে সাথে নিয়েই বৈকালিক সময়টা পার করে। সড়কজুড়ে নানা স্থান থেকে আসা ভ্রমন পিপাসু লোকজনের উপস্থিতি যেন লক্ষ্যনীয়।
৭ জুলাই (বুধবার) সরেজমিনে খাঁন বীচ ঘুরে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশের দৃষ্টিনন্দন চিংড়ি ঘেরের ছোট ছোট ঢেউ আর ডিঙ্গি নৌকা। মনোরম পরিবেশ ও ভাল লাগার জায়গা। বিকেলের পরপর সন্ধ্যার আগমুর্হুতে লোকজনে ভরপুর। নেই নিদিষ্ট বসার জায়গা। সড়কের পাশের তীরই স্থান। সড়ক দিয়ে হেঁটে অপরূপ সৌন্দর্য্য অবলোকন করে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভ্রমনপিপাসুরা। শীতল বাতাস ও পানির কলকাকলী শব্দে দর্শনার্থীদের প্রাণ জুড়ানোর দৃশ্য চোখে পড়ে।
স্থানীয়রা জানালেন, প্রতিদিনই লোকজন কমবেশি আসা যাওয়া ইসলামপুরের বিনোদন জায়গা খাঁন বীচ নামক স্থানে। বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে থাকে উপচেপড়া ভিড়।
বেড়াতে আসা সেচ্ছাসেবী সংগঠক ইমরান তাওহীদ রানা জানান, বৈকালিক সময়ে বিনোদনের মজার স্পর্ট হচ্ছে খাঁন বীচ। এখানকার বিশুদ্ধ বাতাস আর কোথাও নেই। তাই মাঝে মধ্যে ঘুরতে আসা। স্থানটি দৃষ্টিনন্দন। বেড়াতে আসা তরুনের সংখ্যা কম নয়। বসার সু-ব্যবস্থার দাবী।
শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ জানান, গ্রাম্য খাঁন বীচের মনোরম দৃশ্য আর বাতাশ, চিংড়ি ঘেরের নৌকাসহ পানির কলকাকলীর শব্দ যেন ভুলার নয়। একবার নয়,বারবার ছুটে যেতেই মন চাই। বাদাম খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে বন্ধু বান্ধবদের আড্ডা যেন স্মৃতি হয়ে ভেসে বেড়ায়।