বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো আদেশ বা অধ্যাদেশ দিয়ে সংবিধান সংশোধনের সুযোগ নাই।’
শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে ঢাকার সেগুনবাগিচায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক আরও বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের অংশীজনরা একমত হওয়ায় সরকার গঠন হয়েছে এবং তাদের নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তবে, সংবিধান সংশোধনের জন্য মানুষের ম্যান্ডেট দরকার। এর বাইরে কোনো আদেশ বা অধ্যাদেশ দিয়ে সংবিধান সংশোধনের কোনো সুযোগ নাই।’
‘আপনি যখন রাষ্ট্রপতির নামে কোনো আদেশ জারি করছেন, তা যদি কোনোভাবে অনুমোদন হয় তাহলে ভবিষ্যতের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। ভবিষ্যতে যে কেউ এর অপব্যবহার করবে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধনে যেভাবে আদেশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য বলেও মন্তব্য করেন সাইফুল হক।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ক্ষমতা, এখতিয়ার বা ম্যান্ডেট অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। এই ধরনের উদ্যোগ হবে প্রকারান্তরে সংবিধান অস্বীকার করার সামিল।’
গণভোট নিয়ে অতীত অভিজ্ঞতা ভালো নয় জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘নানা রকমের প্রশ্ন উঠবে। এতে ঝুঁকি রয়েছে। ১৭ বছর ধরে মানুষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। একই দিন গণভোট হতে হবে। অর্থাৎ নির্বাচনের দিনই।’
নির্বাহী আদেশ দিয়ে কোনকিছু জারি করা বা বাস্তবায়ন করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান সাইফুল হক।
‘অন্তর্বর্তী সরকারের যতটুকু এখতিয়ার তারা ততটুকুই করবে। এর বেশি যেন না করে। সবাই যেহেতু গণভোটের ব্যাপারে একমত হয়েছে সেহেতু সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে গণভোট আয়োজনের ব্যবস্থা করতে পারে। যদি কোনো ভুল হয় এর মাসুল সবাইকে দিতে।’
সরকার গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করলে সবাই সহযোগিতা করবেন জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘সরকার তার নিরপেক্ষতার পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। আমরা তাদের নানা রকমের প্রস্তাব দিয়েছি তারা নিচ্ছে না। যেসব উপদেষ্টাদের নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো আপত্তি জানিয়েছে, যাদের নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাদের নিয়ে সরকার প্রধান কী করেন তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছি।’














