চট্টগ্রাম: ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উপলক্ষ্যে বিআরটিএ, চট্ট মেট্রো-১, চট্ট মেট্রো-২ ও চট্টগ্রাম জেলা সার্কেলের বিভিন্ন সেবা কার্যক্রমের উপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিআরটিএ নতুনপাড়াস্থ কার্যালয়ে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকাল ৩টায় এ শুনানি হয়।
গণশুনানিতে বিআরটিএতে আগত বিভিন্ন সেবা গ্রহীতাসহ সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ।
এ সময় উপস্থিত সেবা গ্রহীতারা বিআরটিএর বর্তমান সেবার মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও পরিবহন মালিক সমিতি প্রতিনিধিরা চট্টগ্রাম মহানগর ও পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহে ছোট যানবাহনের আধিক্যের কারণে বড় যানবাহন তথা বাস ও মিনিবাসের সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে পরিবহন শ্রমিক সমিতির প্রতিনিধিরা ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ করেন তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকারের করা এ আইন পরিবহন শ্রমিকদের জন্য চরম বৈষম্যমূলক আইন। ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনকে তাঁরা কালো আইন উল্লেখ করে তা অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানান ।
গণশুনানিতে উপস্থিত বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘সত্যিকারের বৈষম্যহীন একটি সমৃদ্ধশালী নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সড়ক পরিবহন ও তৎসংশ্লিষ্ট সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. তৌহিদুল হোসেন, চট্ট মেট্রো-২ সার্কেলের উপ পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী, চট্ট মেট্রো-১ সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) রায়হানা আক্তার উর্থি।