চট্টগ্রাম: সিটির পাহাড়তলীর চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (সিইআইটিসি) সার্বিক তত্বাবধানে চট্টগ্রামে পঞ্চম বারের মত আসা অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ শেষে বিদায় নিয়েছে। এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের ইমরান সেমিনার হলে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অংশ নেনন অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান ও কর্মকর্তাসহ ৫০ জন। উপস্থিত ছিলেন সিইআইটিসির প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ট্রাস্টি ডাক্তার রবিউল হোসেন, অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক মরিস গ্যারি, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আলমগীর, দৈনিক পূর্বকোণের প্রকাশক ও পরিচালনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডাক্তার মুনির আহমেদ।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন উড়োজাহাজে স্থাপিত বিশ্বের একমাত্র সম্পূর্ণ স্বীকৃত চক্ষু চিকিৎসাশিক্ষা ও সার্জিক্যাল হাসপাতাল অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল কার্যক্রমের আহ্বায়ক ডাক্তার মনিরুজ্জমান ওসমানী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিইআইটিসির মেডিকেল ডিরেক্টর ডাক্তার রাজীব হোসেন।
অনুষ্ঠানে অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের পরিচালককে ক্রেষ্ট ও উপহার তুলে দেন রবিউল হোসেন। বাকি ৪৯ জন অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, টেকিনিশিয়ান, কর্মকর্তাকে সিইআইটিসির পক্ষ থেকে উপহার দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানের রবিউল হোসেন ভবিষ্যতে চক্ষু চিকিৎসা কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য অরবিসের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
রবিউল হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সব সময় এ ধরনের কার্যক্রমে অরবিসের সাথে কাজ করবে।’
মনিরুজ্জমান ওসমানী বলেন, ‘অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের পাশাপাশি হাসপাতালভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের চক্ষু চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আরো জোরদার করলে একটা সম্বলিত ভাল ফলাফল আসবে।’
মরিস গ্যারি বলেন, ‘আমি অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে পর পর কয়েক বার চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এসেছি। প্রতি বার লক্ষ্য করেছি হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি রবিউল হোসেনের নেতৃত্বে সম্পূর্ণ টিম খুবই আন্তরিকতার সাথে যার যার দায়িত্ব পালন করেন। ফলে, আমাদের পক্ষে খুব ভাল মানের একটা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা সহজ হয়।’
শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, ‘আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি এ ধরনের উন্নতমানের সামাজিক কার্যক্রমকে স্বাগত জানাই এবং সব ধরনের সহযোগিতা দিতে চেষ্টা করি।’