(আল-কুরআনের সুরা ওয়াকিয়া অবলম্বনে রচিত)
যখন মহা প্রলয় সংগঠিত হবে
যার ব্যাপারে সন্দেহ নেই কিঞ্চিৎ,
সেই দিন কেউ হবে সম্মানিত
আর কেউ হবে লাঞ্চিত।
যখন প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী
পাহাড়গুলো উড়ে যাবে ধুলি কনার মত।
তখন মানুষ অগ্রবর্তী, ডান ও বাম পন্থি
হয়ে যাবে তিন ভাগে বিভক্ত।
অগ্রবর্তীরাইতো থাকবে অগ্রবর্তী হয়ে
তারা হবে আল্লাহর নৈকট্যশীল,
স্বর্ণখচিত আসনে হেলান দিয়ে মুখোমুখি
খোশ গল্পে থাকবে তারা মশগুল।
তাদের চতুষ্পার্শ্বে ঘুরাফরা করবে
চির কিশোরের দল,
পরিবেশন করবে তাদের পছন্দমত
পাখির মাংস ও সুস্বাদু ফল।
যত্ন করে পরিবেশিত হবে
কুঁজা ও খাটি সুরার পান পাত্র,
যা পান করলে কেউ হবে না
কখনো কিঞ্চিৎ বিকারগ্রস্থ।
পুরস্কার পাবে তারা আবরণে রক্ষিত
মোতির ন্যায় আনত নয়না হুর।
তাদের পেয়ে আনন্দিত হবে তারা
বেজে উঠবে তখন পবিত্র সুর।
সেখানে থাকবে না কোন
অবান্তর ও খারাপ বচন,
চারিদিকে শোনা যাবে শুধু
সালাম আর সালাম সম্ভাষণ।
কত সৌভাগ্যবান ডানপন্থী যারা!!
তারা থাকবে কাঁটাবিহিন
বদরিকা বৃক্ষের দীর্ঘ ছায়ায়,
প্রবাহিত পানি, কান্দি কলা ও
প্রচুর ফলমূলের অফুরন্ত ধারায়।
আরাম আয়েশে থাকবে তারা
রয়েছে সেথায় সমুন্নত শয্যা,
সৃষ্টি করা হয়েছে জান্নাতি রমনী
চির কুমারী কামিনি সম বয়স্কা।
বাম পন্থিরা কতই না হতভাগা!!
থাকবে তারা প্রখর বাস্প এবং
উত্তপ্ত পানির ছোঁয়াতে,
শীতলও নয় আরামও নয়
এমন ধুম্রকুঞ্জের ছায়াতে।
ইতিপূর্বে তারা বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে
ডুবেছিল ঘোরতর পাপ কর্মে।
প্রশ্ন করত, মৃত্যুর পর মাটিতে মিশে যাব
আবার পুনরুত্থিত হব কোন মর্মে?
বলে দাও তাাদের, আগের পরের
একত্রিত করা হবে সবাইকে,
অচিরেই তোমরা জানতে পারবে
আল্লাহর সেই নির্দিষ্ট দিনকে।
অতপর হে মিথ্যারোপকরী
অস্বীকারকারী পথ ভ্রষ্টগণ,
যাক্ষুম বৃক্ষ দিয়ে করা হবে
তোমাদের উদর পূরণ।
এরপর পান করানো হবে
গরম টগবগে উত্তপ্ত পানি,
পিপাসিত উটের ন্যায় পান করবে
উত্তপ্ত গরম সেই পানি।
ইহাই হবে কিয়ামতের দিন
তোমাদের যত আপ্যায়ন।
কাজের বদলা অচিরেই পাবে
বেশি দূরে নয় সে দিন ক্ষণ।