পটিয়া, চট্টগ্রাম: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে ধর্মীয় চেতনা ও মূল্যবোধ সৃষ্টির লক্ষে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন এবিটস’-এর আয়োজনে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার বুধপুরা বাজার এলাকায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন সভাপতি এম ইদ্রিচ চৌধুরী অপু।
সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ হাশেম বাহাদুরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম নিলয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আল্লামা আবু তারেক মিয়াজী। বিশেষ বক্তা ছিলেন আল্লামা নুরুল হাকিম খান, মাওলানা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মফিজুল ইসলাম নিলয়, ক্রীড়া সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শহীদুল আলম, ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ইমাম উদ্দিন জিসান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এইচএম বেলাল উদ্দীন চৌধুল, আইন বিষয়ক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ইফতেকার ইসলাম সায়েম, সদস্য মামুন উদ্দিন জীবন, রাশেদ খান নিলয়, মো. রাশেদ, নওশাদ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘বিশ্ব নবীর আগমনে পুলকিত হয় দুনিয়া। এ আনন্দ মুক্তি ও শান্তির। আনন্দ সাম্য, মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ব ও সমমর্যাদার। বিশ্ব যখন অন্যায়, অবিচার, জুলুম ও বহুবিধ কুসংস্কারে নিমজ্জিত ছিল, ঠিক তখনই আল্লাহ হিদায়াতের আলোক প্রদীপরূপে পৃথিবীর বুকে পাঠিয়েছেন হযরত মুহাম্মদকে (সা.)। তিনি পৃথিবীর বুকে এমন এক সুসভ্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন, যা সর্বাঙ্গসুন্দর ও সমুজ্জ্বল আলোক আভায় উদ্ভাসিত। আমাদের সকলের ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ন্যায়, সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহর (সা.) সুন্নাহ্ অনুসরণের বিকল্প নেই। মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) আদর্শ আমাদের জীবনে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে সমাজে কোন বিশৃঙ্খলা থাকবে না। বর্তমান অশান্ত বিশ্বকে শান্তির ছায়াতলে আনতে হলে চাই বিশ্বনবীর আদর্শ অনুসরণ। নবীজির (সা.) আদর্শ ও শিক্ষা অনুসরণের ফলেই আমরা পেতে পারি আল্লাহর সন্তুষ্টি। কেননা এর মাঝেই রয়েছে সব প্রকার কল্যাণ।’
বক্তারা সবাইকে মহানবীর দেখানো পথ অনুসরণ করার আহ্বান জানান।
পরে মিলাদ পাঠ এবং দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়।